রোহিঙ্গাদের সঙ্কট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ নিন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, সে দেশের রাখাইন রাজ্যে চলমান সঙ্ঘাত নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতিসঙ্ঘের সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদেরকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি, মিয়ানমার বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং জাতিসঙ্ঘের ছয় উন্নয়ন সংস্থার প্রধানদের সাথে পৃথক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে যখন প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদেরকে মমতা দিয়ে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ক্রমেই রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। ক্যাম্পগুলো মানুষ পাচার, মাদক চোরাচালান, জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাাজ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সাথে বৈঠকে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের বেশির ভাগকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে, বাকিরাও ফেরতের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমারে বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর মর্টার শেল বাংলাদেশ অংশে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পুনরাবৃত্তিরোধ করা একান্ত প্রয়োজন।
মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে চলমান সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয়। এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে অজুহাত হিসাবে দাঁড় করানোর উচিত না। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে ‘ক্রাইসিস, কনফ্লিক্টস অ্যান্ড ইন্টার-এজেন্সি কোলাবরেশন : নেক্সাস অ্যাপ্রোচ’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। জাতিসঙ্ঘের ছয় সংস্থা- ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস ও ইউএন উইমেনের প্রধানদের পাশাপাশি ইউনিসেফ ও ডব্লিউএফপির উপপ্রধানরা এতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ড. হাছান বিশেষ করে বিশ্বে সঙ্ঘাত প্রভাবিত অঞ্চলগুলোতে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলোর নেক্সাস বা সম্মিলিত উদ্যোগের সুবিধাগুলো তুলে ধরেন। তিনি রাখাইন ও কক্সবাজারের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে উদ্বাস্তু সঙ্কট নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘের সব সংস্থা, তহবিল এবং কর্মসূচিকে সুসংহতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মিশনের অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা