সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র অন্য আইন প্রয়োগ করেছে : কাদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ মে ২০২৪, ০০:০৫
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সেটি ভিসানীতির প্রয়োগ নয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন (ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১সি ধারা) আইনের প্রয়োগ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মিশনকে জেনারেল আজিজ আহমেদের বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজ আহমেদের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেটা ভিসানীতির প্রয়োগ নয়, এটি অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন আইনের প্রয়োগ। এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। এ নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি, এটুকুই বললাম।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক। রক্তপাত ছাড়া বিএনপি আমলে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোটাররা কেন আসেনি এ কথা যারা বলে তাদের বুঝতে হবে- এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। ৭ জানুয়ারি ভোটার উপস্থিতি ৪২ শতাংশ। বিএনপি নেতাদের বলব আপনাদের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিবিসি মন্তব্য করেছিল ৫ শতাংশ, তখন সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশন বলেছিল ২১ শতাংশ। তাহলে আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে উপস্থিতি ২১ এর তুলনায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০ শতাংশ কম কিসে? তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও তাদের সমমনাদের অবিরাম মিথ্যাচার, একধরনের বুদ্ধিজীবীদের অপপ্রচার আছে। টিআইবির অপপ্রচার আছে। আরো কিছু নামী-দামি বুদ্ধিজীবী আছে তারা নির্বাচন সম্পর্কে অপপ্রচার মিথ্যাচার করেছেন মানুষের আগ্রহ নষ্ট করতে। উপস্থিতি খুব ভালো হয়েছে বলব না, তবে মোটামুটি সন্তোষজনক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাকশাল একক কর্তৃত্ববাদী কোনো দল নয়। এটি জাতির প্রয়োজনে তখনকার বাস্তব অবস্থায় একটি জাতীয় দল। এটি একদলীয় কোনো শাসন ছিল না। জাতীয় এই দলে নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবরা যতই মিথ্যাচার করুক তথ্যপ্রমাণ আছে জিয়াউর রহমান বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য পদ লাভ করেছেন। বাকশালের কমিটিতে ৭১ নম্বরে তার নাম ছিল। মিথ্যাচার করে লাভ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা