লু আসার খবরে হঠাৎ চাঙ্গা হয়ে গেছে বিএনপি : কাদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ মে ২০২৪, ০১:০২
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশে আসা স্বাভাবিক হলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কথা বলে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কি না সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা কোনো উত্তাপ ছড়াতে চাইনি। আমরা বিএনপির হাসিখুশি ভাব দেখলাম, হঠাৎ চাঙ্গা হয়ে গেছে। সামনে তো কিছু নেই। এখন ডোনাল্ড লু এসে সামনে কিছু করার অভিসন্ধি আছে কি না সেটা বিএনপিই ভালো জানে।
গতকাল বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ্এমন মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সাথে তাদের আলোচনা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির ফলোআপ করতে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন। আমরা সেটাই মনে করি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার জন্যই আসবেন। সরকারের সাথে কথা বলবেন। বিএনপি উদ্ভট চিন্তা করছে। ভাবছে আবার নিষেধাজ্ঞা দেবে! তারা তো এমন অনেক উদ্ভট চিন্তা করে প্রলাপ বকেছিল বারবার। জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে বিএনপি।
‘অদৃশ্য শক্তি বাংলাদেশকে চালাচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন অদৃশ্য শক্তি বাংলাদেশ চালাচ্ছে পরিষ্কার করে ফখরুল সাহেব এটা বলবেন কি? আরেকজন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের সাহেব বলেছেন সিন্দাবাদের দৈত্য নাকি সরকারের কাঁধে চেপেছে। তারা নাকি দেশ চালাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিচালনা করছে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। অদৃশ্য শক্তি দ্বারা দেশ পরিচালনা করা বিএনপির আদর্শিক চরিত্র। বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিল তাদের বিকল্প পাওয়ার সেন্টার। দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের নির্দেশ ছাড়া কিছুই হতো না। যারা এভাবে চলে তারাতো অদৃশ্য শক্তির মানসিক ট্রমায় ভুগবে এটাই তো স্বাভাবিক।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (বিএনপি) সংবাদ সম্মেলন মানে অসত্যকে সত্য বলে চালানোর সুনিপুণ কৌশল। সত্যকে পাশ কাটিয়ে অসত্য ও মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা, ইতিহাস বিকৃত করা, চলমান উন্নয়ন অগ্রগতিকে অস্বীকার এবং নিজেদের অতীত ইতিহাস ভুলে নিজেদের দায় অপরের ওপর চাপিয়ে দেয়া। মির্জা ফখরুল সাহেব অবিরাম মিথ্যা বলতে পারেন। বিএনপি নেতারা নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে মিথ্যাচার অপপ্রচার অবলীলায় করে যেতে পারে।
নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানতে চাই ফখরুল সাহেব ২০০৯ সালের আগে নির্বাচনী ব্যবস্থা কার অধীনে ছিল? আজকে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার অবদান। বাংলাদেশে একটা দল আছে বিএনপি, এই বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায় যারা বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দেবে। এই গ্যারান্টি না পেলে বাংলাদেশে কোন নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নয়- এমনটাই মনে করে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি বয়কট করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। আজকে এই নির্বাচনের পক্ষে ইউরোপ আমেরিকারসহ অনেক দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। কথামালার চাতুরী ছাড়া দেশবাসীকে দেয়ার মতো বিএনপির কিছুই নেই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্যসঙ্কটের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ নামে। কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা এসব উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা লিপ্ত রয়েছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, নির্বাচনের পর দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। নেতাকর্মীদের সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সে চেষ্টা এখনো চলছে দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা