চট্টগ্রাম নগরীর আলকরণে কিশোরগ্যাংয়ের দু’দিন ধরে সংঘর্ষ
আতঙ্কে এলাকাবাসী- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৪ মে ২০২৪, ০২:১৪
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি ও সদরঘাট থানার মধ্যে অবস্থিত আলকরণ এলাকায় দু’দিন ধরে স্ক্র্যাপ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সংঘর্ষ চলাকালে তারা গুলির শব্দ শুনেছেন। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কিশোর গ্যাং লিডার ডোম আসিফ ও অভির অনুসারীদের মধ্যে এ সঙ্ঘাত হচ্ছে। ডোম আসিফ ও অভি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডোম আসিফের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক উঠতি কিশোর ও যুবক আলকরণ এলাকায় মহড়া দেয়। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, হকিস্টিক ও রাম দা ছিল। তারা প্রথমে জিপিও মোড় দিয়ে ঢুকে পুরো এলাকায় মহড়া দেয়। অপর দিকে অভির নেতৃত্বে একদল কিশোরগ্যাং সদস্য তাদের ধাওয়া দিলে রাত ১০টার দিকে সংঘর্ষ লেগে যায়। দুই গ্রুপের আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষের সময় ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদের সহকারী সালাউদ্দিন মরাত্মকভাবে আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরে কোতোয়ালি এবং সদরঘাট থানা পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগের দিন ১ মে আলকরণ ওয়ার্ডের ৩ নম্বর গলির অভির সাথে ২ নম্বর গলির আকাশের কথাকাটাকাটি হয়। অভির বন্ধু ফিরিঙ্গিবাজারের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং নেতা ডোম আসিফ। অভির পক্ষ হয়েই একই দিন ডোম আসিফ তার গ্যাং সদস্যদের নিয়ে তাণ্ডব চালায় আলকরণে।
জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট ও ব্রিজঘাটে বিভিন্ন জাহাজ থেকে স্ক্র্যাপ আনলোডের সময় অনেক স্ক্র্যাপ পানিতে পড়ে যায়। সেই স্ক্র্যাপ পানি থেকে তুলে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন ভাঙারিদের কাছে। আর এই স্ক্র্যাপ তুলতে সেখানে সক্রিয় রয়েছে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচটি সিন্ডিকেট। স্থানীয় থানা পুলিশও ‘কমিশন’ নেয় সেখান থেকে। মূলত ওই স্ক্র্যাপ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সঙ্ঘাত এবং দ্বন্দ্ব চলছে। ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, বুধবার বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে কিরিচসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেছে। বৃহস্পতিবারও একই ঘটনা।
এ দিকে দুই থানার মাঝামাঝি এলাকায় দুই কিশোরগ্যাংয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষ চললেও পুলিশ অনেকটা নীরবে রয়েছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তবে সংঘর্ষের বিষয়ে কোতোয়ালি ও সদরঘাট থানা সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা