কাতারের আমির দুই দিনের সফরে কাল আসছেন
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার ঢাকা আসছেন। প্রায় দুই দশক পর কাতারের কোনো আমিরের এটি প্রথম বাংলাদেশ বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০০৫ সালে কাতারের তৎকালীন আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
কাতারের আমিরের সফরে সফরে দুই দেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও এমওইউ সই হতে পারে। এগুলো হলো ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি সহযোগিতা চুক্তি, দ্বৈত কর প্রত্যাহার চুক্তি, শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি। এমওইউগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে কাতারে জনশক্তি রফতানি, ধর্মীয় বিষয়ে সহযোগিতা, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনায় কাতারের প্রতিষ্ঠান মাওয়ানির যুক্ততা, উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা ও কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ।
ভারত ও থাইল্যান্ডের পর এবার কাতারের সাথে বন্দিবিনিময় চুক্তি সই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে ১০০ জনের বেশি বাংলাদেশী নানা ধরনের অপরাধে দণ্ডিত হয়ে কাতারে কারা ভোগ করছেন। বন্দিবিনিময় চুক্তি হলে দণ্ডিত এই ব্যক্তিরা সাজার বাকি মেয়াদ দেশে ভোগ করবেন।
কাতারের বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মাওয়ানি বাংলাদেশে বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহী। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটি মহেশখালীর মাতাবাড়িতে নির্মাণাধীন বন্দরের ব্যবস্থাপনা করতে চায়। বাংলাদেশ এখনই প্রতিষ্ঠানটিকে এ বন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ভবিষ্যতে মাওয়ানিকে যুক্ত রাখার লক্ষ্যে এ সফরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে প্রতিষ্ঠানটির একটি এমওইউ সই হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে কাতার। ইরান ও ইসরাইলের সাম্প্রতিক সঙ্ঘাত ও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে কাতারের আমিরের ঢাকা সফরে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
২০১৭ সালে আরব লিগ, বিশেষ করে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশগুলোর সাথে কাতারের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল। ওই সময় কাতারের বিপক্ষে অবস্থান নিতে বাংলাদেশের ওপর সৌদি আরব চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এ ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। বাংলাদেশের জনশক্তির প্রধান বাজার সৌদি আরব হলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর্মী কাতারে কাজ করেন। এ ছাড়া কাতারে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত থাকায় বিদেশী শ্রমিকরা তুলনামূলক ভালো বেতনভাতা পান। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সঙ্কটের সময়ে কাতারের পাশে ছিল বাংলাদেশ। এ কারণে দেশটি বাংলাদেশের ওপর সন্তুষ্ট।
কর্মসূচি অনুযায়ী কাতারের আমিরকে বহনকারী বিশেষ বিমান সোমবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ সাহাবুদ্দীন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। পরদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাতারের আমিরের প্রথমে একান্ত ও পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এরপর চুক্তি ও এমওইউগুলো সই হবে। দুপুরে কাতারের আমির বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং তার সম্মানে দেয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা