গুঁড়া চিংড়ির কেজি ১৬০০ টাকা!
- আবু সালেহ আকন
- ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৬
- নিত্যপণ্য নিয়ে দিশেহারা মানুষ
- হাজার টাকার পণ্য কিনে এক আঙুলে তুলে নেয়া যায়
গুঁড়া চিংড়ির ডালার দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে মাহমুদুল হাসান বলছিলেন, দেখেন এই চিংড়ির দাম নাকি ১৬০০ টাকা! এই গুঁড়া চিংড়ি মানুষ কোনো দিন খেয়েছে? ওগুলোতো এক সময় আমরা ফেলে দিয়েছি। এখন বাধ্য হচ্ছি কিনতে। কী খাবো! কোনো কিছুই তো খাওয়ার নেই। কম দামে আছে চাষের কিছু মাছ। তা-ও ৩৫০-৪০০ টাকার নিচে নেই। গতকাল সকালে ডেমরার কোনাপাড়া মাছের বাজারে কথা হয় মাহমুদুলের সাধে। সবকিছুর দাম নিয়ে তার মধ্যে বিস্তর হতাশা। কিছু দিন আগেও এক হাজার টাকার বাজার করলে রিকশা লাগত বাসায় নিতে। এখন এক আঙুল দিয়ে তুলে নেয়া যায়। বাজারে কোন জিনিসের দাম বাড়েনি? আরেক ক্রেতা সিদ্দিকুর রহমানের জিজ্ঞাসা। তিনি বলেন, বাজারে মাছ, গোশত, তরিতরকারি চিনি, চাল, আটা ও ডাল কোনো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। চলতি সপ্তাহে বেড়েছে মাছ-গোশতের দাম। বেড়েছে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম। আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের মতো নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে। আমদানি করা আদা ও রসুনের দামও বেড়েছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে শাকসবজির দাম। আলুর দাম বেড়েছে ১৫ টাকার মতো। গত সপ্তাহেও যে আলুর দাম ছিল ৪৫ টাকা কেজি দুই দিন ধরে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি ৩৫- ৪০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০-৩৫ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৩০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৬৫ টাকা, পটোল ৫০-৬০, কচুরলতি ৬০-৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০ টাকা, কচুরমুখী মানভেদে ৫০-৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশী রসুন ১৬০-১৭০ টাকা ও আমদানি করা রসুনের কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি স্থানভেদে ২৩০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশত আগের মতোই ১২০০-১২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছের মধ্যে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কৈ, শিং বিক্রি হচ্ছে ৩৫০- ৪০০ টাকায়। তেলাপিয়া ২৫০ টাকা। পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশী শোল মাছ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা। দেশী বাইলা ১২০০ টাকা। দেশী শিং ১০০০-১১০০ টাকা। দেশী কৈ ৮০০- ১০০০ টাকা। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৫০০- ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০-১১০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৩০০, রূপচাঁদা ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। নদীর গুঁড়া চিংড়ি ১২০০-১৬০০ টাকা। মোটামুটি আকৃতির চিংড়ি ১২০০ টাকা, নদীর বড় আকৃতির চিংড়ি ১০০ টাকা, চাষের বাগদা চিংড়ি ৭৫০-৮০০ টাকায় কেজি বিক্রি হতে
দেখা গেছে।।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা