১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত

-

ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে এসে এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। তখন থেকে বিবিসি রাশান, স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোন এবং স্বেচ্ছাসেবকরা ইউক্রেইনে রুশ সেনাদের নিহত হওয়ার সংখ্যা গণনা করে আসছে। বিবিসি।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছরে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি রুশ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। রাশিয়াজুড়ে কবরস্থানগুলোতে নতুন নতুন কবর অনেক সেনার নাম খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে বলেও জানায় বিবিসি। এ ছাড়া আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট, পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত উৎস থেকে পাওয়া তথ্য সমন্বয় করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০-এর বেশি রুশ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। আর এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, অনেক প্রাণের বিনিময়ে রাশিয়া ইউক্রেইনের কিছু অঞ্চলের দখল পেয়েছে।
রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের দনেস্ক ও লুহানস্ক-এ রুশপন্থী যেসব মিলিশিয়া যোদ্ধা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছে তাদের তারা এই তালিকায় রাখেনি। না হলে রাশিয়ার পক্ষের সেনা নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতো। রাশিয়া সরকার অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে এর চেয়ে অনেক কম সেনা নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে। একইভাবে ইউক্রেনও যুদ্ধে তাদের সেনা নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধের দুই বছরে তাদের ৩১ হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিবিসি বলেছে, সেনা নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি।

ইউক্রেনে ৩৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ : এ দিকে এএফপি জানায়, ইউক্রেন মঙ্গলবার বলেছে, তারা সামরিক কর্মীসহ প্রায় ৩৭ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করেছে, যারা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত সংখ্যা ‘আরো বেশি’ হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা। নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা গণনা করা কঠিন। কারণ রুশ বাহিনী এখনো দেশটির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে আছে এবং কোনো পক্ষই নিয়মিত সামরিক হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে না।
ইউক্রেনের মানবাধিকার ন্যায়পাল দিমিত্রো লুবিনেট বলেছেন, ‘প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ বলে মনে করা হচ্ছে। শিশু, বেসামরিক ও সামরিক। এই পরিসংখ্যান আরো বেশি হতে পারে।’ তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রেড ক্রস রাশিয়ার হাতে ‘অবৈধভাবে আটক’ প্রায় এক হাজার ৭০০ জনকে চিহ্নিত করেছে। তিনি দেশটির বিরুদ্ধে ২০১৪ সাল থেকে ‘বেসামরিকদের অপহরণ’ করার অভিযোগ এনেছেন, যখন দেশের পূর্বাঞ্চলে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়। এ দিকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুম করার এবং অধিকৃত এলাকা থেকে শিশুদের অপহরণ করার অভিযোগ এনেছে। তবে ক্রেমলিন সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বিশাল অংশ রাশিয়ার দখলে রয়েছে। যুদ্ধে অনেক শহর ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয় তার মার্চের প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আট হাজারেরও বেশিসহ কমপক্ষে ১০ হাজার ৮১০ জন নিহত হয়েছে। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত ‘অনেক বেশি’ এবং যাচাই করা কঠিন বলেও উল্লেখ করেছে তারা। কারণ স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের দখলকৃত এলাকায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে। সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিরল বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, যুদ্ধের প্রথম দুই বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ষষ্ঠবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের মিশনে ইংল্যান্ড বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা : টঙ্গিবাড়ীতে আ’লীগ নেতা গ্রেফতার ফেনীতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ রুখতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি চৌগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত শিবচরে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ১১তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন প্রাথমিকের শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ চট্টগ্রামে টিভি বিস্ফোরণে বসতঘর পুড়ে ছাই কুয়াকাটায় সাবেক মেয়রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ২ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ নাতনিকে অপহরণে বাধা দেয়ায় নানিকে হত্যার অভিযোগ, আহত ২

সকল