১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লিভার ও কিডনি জটিলতাই খালেদা জিয়ার অসুস্থতা

ওষুধ ও খাবারে পরিবর্তন
-

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। লিভার ও কিডনি জটিলতার কারণেই তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, গত শনিবার গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার সর্বশেষ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। এ ক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বিদেশী চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন। গত রাতেও বিদেশী চিকিৎসকদের সাথে ঝুম মিটিংয়ে বেগম জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করা হয়েছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশী-বিদেশী চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ওষুধে পরিবর্তন আনা হয়েছে। একই সাথে খাবারেও কিছু রেস্ট্রিকশন আরোপ করা হয়েছে।

এ দিকে গতকাল দুপুরে বেগম জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বেগম জিয়াকে দেখে বেড়িয়ে বিএনপি মহাসচিব উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে বলেন, বেগম জিয়ার মুখখানা দেখলে খুব কষ্ট লাগে। চোখের পানি আটকানো যায় না। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, গত রাত ১১টায় ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বিদেশী চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন।

মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ এভারকেয়ারে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। করোনা মহামারীর সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর পর থেকে কিছু দিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে তাকে।

৭৮ বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভোগছেন।

সরকার খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তবে চিকিৎসার জন্য তার বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে উপাসনাস্থল নিয়ে আপাতত নতুন মামলা করা যাবে না সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারকে যে বার্তা দিলো পশ্চিমতীরের ইসলামী আন্দোলন প্রধান বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চায় না : ড. মঈন খান রাজশাহীতে আরো ২ মামলায় গ্রেফতার সাবেক এমপি আসাদ স্কুলে ভর্তির লটারির ফল জানা যাবে যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের রুখে দিতে হবে : জাহিদ হোসেন পতিত স্বৈরশাসকের জন্য ভারত মায়াকান্না করছে ‘অপশক্তিকে রুখে দিয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে’ বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের আহ্বান ফেনীতে মুক্তিপণ না দেয়ায় শিশু খুন, গ্রেফতার ৩ কিশোর ড. ইউনূসের সাথে এসএফও প্রতিনিধিদলের বৈঠক

সকল