১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ না পাওয়ার আক্ষেপ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ -


আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছরে উপনীত হয়েছে। দীর্ঘ এ সময়ে যেমন একদিকে দেশের মানুষ অনেক কিছু পেয়েছে আবার অন্য দিকে আশাহত হওয়ার মতো ঘটনাও কম নয়। এই দেশটাকে যারা গড়বেন সেই রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মধ্যকার বিভাজন চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আস্থার সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে এবং একটি অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি হয়েছে। যার ফলে স্বাধীনতা অর্জনের অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও গণতন্ত্র এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। গণতন্ত্র সুসংহতকরণের বিপরীতে আজো শুনতে হচ্ছে ভোটাধিকার হরণের কথা। এই সঙ্কট নিরসন না হলে কাক্সিক্ষত দেশ গঠনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থান করতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে যদি অর্জনের দিক বলা হয় তাহলে মনে হবে, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার মানুষ পেয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, রাজধানীবাসী পেয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল- ইট পাথরের শহরে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, রাজধানীর বাইরেও রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের দিক দিয়ে বেশ উন্নয়ন চোখে পড়ে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতা বেড়েছে। সরকারি হিসাব মতে, দারিদ্র্যের হারও কমেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে আমাদের অগ্রগতি খানিক বেশি আছে। তবে এসব উন্নয়নে আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার মতো তেমন কিছু দেখা যায় না। মহান স্বাধীনতা অর্জনের ৫৩ বছরেও এসে দেখতে হয় অনেক অসহায় গরিব মানুষ দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্য দ্বারে দ্বারে হাত পাতছে, প্রতিটি বিভাগে দুর্নীতি বেড়েছে, বিদেশে অর্থপাচার ও লুটপাট বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ব্যয়ের কষাঘাতে চিঁড়েচ্যাপটা হয়ে পড়েছে দিন আনে দিন খেটে খাওয়া মানুষেরা। সবচেয়ে বড় কথা, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তার চরম অবক্ষয় ঘটেছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা অনেক ক্ষেত্রে রুদ্ধ হয়েছে, ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি তো আছেই। যেসব ভিত্তির উপর একটি দেশ স্বাধীন হয়েছে তার মূল অনুষঙ্গগুলোই আজ ব্যাপকহারে অনুপস্থিত। এখনো দেশের মানুষ শান্তির সুবাতাস খুঁজে বেড়ায়, এটা আমাদের জন্য বড় দুর্ভাগ্য বটে।

এ প্রসঙ্গে প্রবীণ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন নয়া দিগন্তকে বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পরে আমাদের অনেক উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে। মেগাপ্রজেক্ট পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল চালু হয়েছে। দেশের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় রয়েছে বলে এগুলো সম্ভব হয়েছে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নিহত না হলে আমরা এতদিনে উন্নত দেশের কাতারে চলে যেতাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়েই এ দেশে রাজনৈতিক বিভাজন শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিভাজন যদি না থাকতো তাহলে আমরা আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। যেমন গণতন্ত্রকে আমরা এখনো সুসংহত করতে পারেনি। অসাম্প্রদায়িক দেশ এখনো গড়ে তুলতে পারেনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, অর্থনৈতিক সূচকে দেশ অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়েছে। দারিদ্র্যের হার কমেছে। মানব উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতি নিয়ে অনেকেই ঈর্ষান্বিত। উন্নয়ন মানেই যদি অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি বুঝি তাহলে এগুলোর দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। কিন্তু মানুষতো শুধু তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হলে, খাওয়া পরা হলেই বেঁচে থাকতে পারে না, মানুষের জন্য কতকগুলো স্বাধীনতা দরকার। যেমন বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি, এগুলো না থাকলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। এসব দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তিনি বলেন, দুর্নীতির দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে এগিয়ে গেলেও আমরা গণতান্ত্রিক সূচকে পিছিয়ে পড়ছি। স্বাধীনতার অর্ধ্বশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও এখনো দেখতে হচ্ছে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন, বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার হরণ- এগুলো আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। রাজনৈতিক বিভাজনটা অনেক বেড়ে গেছে।

বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর দীর্ঘ এই সময়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে বিস্তর ফারাক রয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিভাজনটা অনেক বেশি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করছে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মারাত্মক ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ব্যাপকহারে। গণতন্ত্রের যে মূল অনুষঙ্গ বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার প্রয়োগ- এগুলো তো আজ একেবারে অনুপস্থিত। তিনি আরো বলেন, এ দেশে বিনাভোটের নির্বাচনে সরকার গঠন হয়। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বাদ দিয়ে বিতর্কিত নির্বাচনও আমরা দেখতে পাই। সর্বশেষ যে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা দেখলাম তা গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা নিরসন না হলে কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত দেশ গঠন সম্ভব নয়।
বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত ঘাম শ্রমের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তার পরই আমাদের মূলত স্বপ্ন দেখা শুরু। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সত্যিকার অর্থে আজ পর্যন্ত স্বাধীন হওয়ার পর যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল মানুষ, যেমন একটি ধারাবাহিক গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সুশাসন, সবার জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি এগুলো সংবিধানে লেখা আছে কিন্তু আমরা তার ধারেকাছেও নেই। আর এখন স্বপ্ন বলতে যদি আমরা কিছু রাস্তাঘাট, কিছু ব্রিজ, কালভার্ট ইত্যাদি কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন বুঝি তাহলে অনেক হয়েছে। তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে মানুষকে যে স্বপ্নগুলো দেখানো হয়েছে তা বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য শুধু রাজনৈতিক বিভাজন দায়ী নয়, অনেক অনুষঙ্গ দায়ী। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে যে ধরনের শিক্ষা ও দেশপ্রেম, যে ধরনের আত্মত্যাগ, সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতা থাকা দরকার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা কখনোই ছিল না। যার ফলে মহান স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হলেও আমাদের গণতন্ত্র ও সুশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আক্ষেপ করতে হয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ’৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।
বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টসে ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৯ শ’ ৬১ মার্কিন ডলার। সময় পেরিয়েছে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়েছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ দেশ আখ্যা দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারো জাতি স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এ উপলক্ষে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরের ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement