০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১,
`

৭ মাসে সঞ্চয়ে বিনিয়োগ কমেছে পৌনে ১৩ হাজার কোটি টাকা

-

সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নেমেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সাত মাসে ( জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়ে ( সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক) বিনিয়োগ বা বিক্রি কমেছে ২১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১২ হাজার ৮৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ার পূর্বে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হচ্ছে ব্যাংক ঋণ নিয়ে। আর এতে করে সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েই চলেছে।
এ দিকে, বাজারে জিনিসপত্রের চড়া দাম, সুদের হার হ্রাস এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নানা ধরনের কড়াকড়ি আরোপের কারণে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সঞ্চয় অধিদফতর সর্বশেষ জানুয়ারি মাসের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, এই মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের মাস ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ১ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা ঋণাত্মক (নেগেটিভ) ছিল। নভেম্বরে নিট বিক্রি ঋণাত্মক ছিল ৯৮৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অক্টোবরে নিট বিক্রি ৯৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণাত্মক (নেগেটিভ) হয়। সেপ্টেম্বরেও সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ৭০ কোটি ৬৩ হাজার টাকা ঋণাত্মক ছিল। এতে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের সাত মাসের চার মাসই সরকার তার কোষাগার থেকে গ্রাহকদের সুদ-আসল পরিশোধ করেছে। বিক্রির চাপ কমাতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্ত আরোপসহ আরো কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। তার পরও বাড়তে থাকে বিক্রি।
সর্বশেষ সঞ্চয়পত্র খাতে সরকারকে যাতে বেশি সুদ পরিশোধ করতে না হয়, সে জন্য বিক্রি কমানোর জন্য ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয় সরকার। এরপর থেকেই বিক্রি কমছে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সরকার। এর বিপরীতে প্রথম সাত মাসে এই খাত থেকে কোনো ঋণ পাওয়া যায়নি উল্টো ৩ হাজার ৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কোষাগার থেকে অথবা ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করা হয়েছে।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে গ্রাহকদের মূল টাকা (বিনিয়োগ) ও মুনাফা (সুদ) বাবদ পরিশোধ করা হয় ৮৮ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর এ খাতে সরকারের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৯১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরেছিল। সে হিসাবে দেখা যায়, গত অর্থবছরে লক্ষ্যের চেয়ে এই খাত থেকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কম ঋণ নিয়েছে সরকার।
২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৯ কোটি টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করা হয়। সে হিসাবে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে, ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
নতুন বিপ্লবকে মানুষের সত্যিকারের মুক্তির বিপ্লবে পরিণত করতে হবে : সেলিম উদ্দিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ আগামী দিনে দেশে নেতৃত্বে দিবে ইসলামী ছাত্রশিবির : আব্দুর জাব্বার আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ৪ বাংলাদেশী আটক চকরিয়ায় ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাইক আরোহী শিক্ষার্থী নিহত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড চাঁদপুরে, শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দোয়ারাবাজারে ৩ আ’লীগ নেতা গ্রেফতার ইসরাইলের সবগুলো গ্যাসক্ষেত্র একযোগে ধ্বংস করা হবে : আইআরজিসি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক ভারী বৃষ্টির আভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা

সকল