০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

তমদ্দুন মজলিসের মাসব্যাপী গণসংযোগ

-

আমাদের ভাষা আন্দোলনের সূচনা এবং এর বিকাশ ও পরিণতি লাভের পুরো অধ্যায়জুড়েই তমদ্দুন মজলিসের অবদান অনস্বীকার্য। সে সময় তমদ্দুন মজলিসের মাধ্যমেই ভাষা আন্দোলনে সবাই সম্পৃক্ত হন। প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম তমদ্দুন মজলিসের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর একটি পুস্তিকা আকারে ভাষা আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন। ভাষা আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রকাশের পর সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তমদ্দুন মজলিস মাসব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে।
১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে নূপুর ভিলা নামে পরিচিত সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্রাবাসে একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বহু ভাষাবিদ, শিক্ষা ও সাহিত্যের পুরোধা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। সেখানে আন্দোলনের কর্মপন্থা নির্ধারিত হয়। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সাংগঠনিক পক্ষ ও পুরো অক্টোবর মাসজুড়ে গণসংযোগ পালন করে তমদ্দুন মজলিস।
তমদ্দুন মজলিসের নেতৃবৃন্দ এ সময় আইন পরিষদ ও গণপরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করে ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে তুলে ধরেন। ১৯৪৭ সালের ৫ নভেম্বর প্রকাশ্য জনসভায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করা হয়। পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদীনকে দেয়া হয় সংবর্ধনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজী মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠানে তমদ্দুন মজলিস প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন।
১২ নভেম্বর ফজলুল হক হলের সাহিত্য সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাবিবুল্লাহ বাহার, বেসামরিক সরবরাহমন্ত্রী নূরুল আমীন, কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ মুহম্মদ আফজাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারাও ভাষা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি ধাপে ধাপে জনসাধারণ এবং সরকারি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement