হেফাজতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কাল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ মার্চ ২০২১, ০১:০৩
বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভে হামলায় নেতাকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ এবং আগামীকাল রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হকসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, অবিলম্বে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে হবে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজত নেতাকর্মীসহ সাধারণ মুসল্লিরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা হামলা ও বাধা দিচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী: ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুুলিশের গুলিতে সাতজন লোক নিহত ও শত শত মুসল্লিকে আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২৬ মার্চ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি শুভ দিন। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ করছি, এ ঐতিহাসিক দিনে পুলিশের গুলিতে চট্টগ্রামে চারজন, ঢাকায় দুইজন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনসহ মোট সাতজন লোক নিহত হয়েছে এবং মুসল্লি, পুলিশসহ শত শত লোক আহত হয়েছে। আহতদের অনেকের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এসব ঘটনা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। বর্বরোচিত ও নৃশংস এসব হামলার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশের মানুষের কাছে আজ এক বিরাট প্রশ্ন, কী কারণে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাতজন লোককে গুলি করে হত্যা করা হলো এবং কেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে মুসল্লিদের ওপর হামলা করা হলো এবং নির্বিচারে গুলি করা হলো? এসব নৃশংস হামলায় যারা নিহত হয়েছেন মহান রাব্বুল আলামিন তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। নিহতদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জামায়াত আমির বলেন, গোটা দেশের মানুষ আজ স্বাধীনতা দিবস পালনের পরিবর্তে এক দলীয় শাসনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারের এহেন ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
ঢাকা মহানগরী উত্তর: ‘বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের যুগপৎ হামলা এবং সাতজনকে গুলি করে হত্যা সরকারের ফ্যাসীবাদ ও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারী মাদরাসায় বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা ও সাত ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ও ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমমনা ইসলামী দল: সমমনা ইসলামী দলগুলোর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে মোদি আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারীসহ সারা দেশে আন্দোলনরত স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদী দেশপ্রেমিক জনতার ওপর হামলা ও হতাহতের জন্য সরকার এককভাবে দায়ী। গতকাল বাদ আসর পুরানাপল্টনস্থ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অফিসে সমমনা ইসলামী দলগুলোর বৈঠকে তারা এ কথা বলেন। জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা জুনাঈদ আল হাবীব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন: স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা, গুলি ও টিয়ারশেলের নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মোদি বিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নিরীহ নিরপরাধ জনতার ওপর হামলা করে দেশপ্রেমিক জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। দেশপ্রেমিক প্রতিবাদী জনতা যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে শিগগিরই জনরোষে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
খেলাফত মজলিস : বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ও হাটহাজারীতে মুসল্লিদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন মোদির জন্য দেশের জনগণের ওপর এই হামলার ঘটনা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। মুসল্লি ও দেশপ্রেমিক তাওহিদি জনতার ওপর এই হামলা ও হত্যার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। দেশবাসী এ হামলার সমুচিত জবাব দেবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদির আগমন কোনোভাবেই জনগণ সহ্য করতে পারছে না, তাই তারা কোনো না কোনোভাবে প্রতিবাদ করবে এবং মোদির প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করবে এটাই তো স্বাভাবিক বিষয়। সরকারের উচিত ছিল প্রতিবাদী জনগণের সাথে সংযত আচরণ করা কিন্তু সরকার ও সরকারের পেটোয়া বাহিনী এক্ষেত্রে সংযত আচরণের পরিবর্তে উল্টো জনগণের ওপর নির্মমভাবে হামলা করার পথ বেছে নিল যা কোনোভাবে বরদাশত করা যায় না। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নেতৃবৃন্দ হলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শাইখ যিয়া উদ্দীন, সহসভাপতি মাওলানা জহীরুল হক ভূইয়াঁ, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া ও মুফতি মুনীর হোসাইন কাসেমী।
ইসলামী ঐক্যজোট: ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব বলেছেন, বায়তুল মোকাররম ও হাটহাজারীতে মুসলমানদের শান্তিপর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে উগ্রবাদী হিন্দু নেতা মোদির এদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন অনুষ্ঠান কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এদিকে বায়তুল মোকাররম ও হাটহাজারীতে মুসলমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে গেন্ডারিয়ার ফরিদাবাদে ইসলামী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি এইচ এম বরকতউল্লাহ। অন্যদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন ও পীরজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মো: ইলিয়াছ আতহারী প্রমুখ।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন: তাওহিদি জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ও বর্বর হামলা করে হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের সাথে তৌহিদি জনতার শত্রুতা নেই তবে ইসলাম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমন মুসলমানরা কিছুতেই বরদাশত করতে পারছে না। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি হতে পারেন না মোদি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস: সারা দেশে আন্দোলনরত স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদী দেশপ্রেমিক জনতার ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব শায়খুল হাদিস মাওলানা মামুনুল হক। এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ বাতিল করার জন্য দেশের তাওহিদি জনতা জানিয়ে আসছিল। কিন্তু সরকার তাওহিদি জনতার প্রতিবাদকে কর্ণপাত না করে মোদিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এর প্রতিবাদে দেশপ্রেমিক তাওহিদি জনতা বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করলে সরকার দলীয় সন্ত্রাস ও পুলিশ বাহিনী বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে শত শত লোক আহত ও চারজন নিহত করে। এর দায় দায়িত্ব সরকার ও প্রশাসনকেই নিতে হবে।
নেজামে ইসলাম পার্টি: চলমান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীসহ পুলিশ বাহিনীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। এক বিবৃতিতে পার্টির আমির আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজি, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আনসারী, ঢাকা মহানগর আমির হাফেজ মোল্লা আবু তাহের খান এই ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানান।
ছাত্রশিবির : স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের নৃশংস হামলা, ছাত্রসহ হত্যা ও অসংখ্য মুসল্লিকে মারাত্মকভাবে আহত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের সেবাদাস পুলিশের বর্বরতা ও নৃশংসতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর পুলিশ যে বর্বরতা চালিয়েছে তাতে দেশবাসী স্তম্ভিত ও প্রচ ক্ষুব্ধ। যেকোনো ইস্যুতে কথা বলা, মিছিল সমাবেশ করা প্রতিটি নাগরিক, দল ও সংগঠনের সাংবিধানিক অধিকার। রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিরা তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ হিংস্র হায়েনা হিসেবে খ্যাত সশস্ত্র ছাত্রলীগ-যুবলীগ-টোকাইদের নিয়ে নিরস্ত্র নিরীহ মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে এই পরিকল্পিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা