একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে : মির্জা ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ মে ২০১৯, ০০:০০
দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দলের যৌথ সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজকের প্রেক্ষিত হচ্ছেÑ দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই, মানুষের সব অধিকার হরণ করা হয়েছে। জনগণের সাথে প্রতারণা করে একদলীয় ব্যবস্থা জনগণের ওপর আবার চাপিয়ে দেয়ার জন্য হীন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও পরনির্ভরশীল দেশে পরিণত করবার জন্য এ সরকার তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আজকে গোটা জাতি গভীর সঙ্কটে আছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এই শাহাদতবার্ষিকী একটা সময় এনে দিয়েছে, যে সময়ে আমরা সব নেতাকর্মী শহীদ জিয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবারো ঐক্যবদ্ধ হতে পারি। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারি এবং গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে এনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করতে পারি।
কর্মসূচি : আগামী ২২ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে আছেÑ ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিল, সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (ড্যাব) ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ঢাকা মহানগরে দুস্থদের মধ্যে কাপড় ও ইফতারসামগ্রী বিতরণ, ছাত্রদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নিজেদের সুবিধামতো আলোচনা সভা, ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবে। জেলা ইউনিটগুলো শহীদ জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলাদা কর্মসূচি নেবে। ৩০ মে বিএনপি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করবে এবং নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর বিপথগামী একদল সদস্যের অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাহাদতবরণ করেন। সেই থেকে বিএনপি এ দিনকে শাহাদত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি পোস্টার প্রকাশ করবে। পত্রপত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
যৌথ সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির বজলুল বাসিত আঞ্জু, এজিএম শামসুল হক, যুবদলের মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, নূরুল ইসলাম খান নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ওলামা দলের শাহ মো: নেছারুল হক সহ তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, কৃষকদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।