সদিচ্ছাকে দুর্বলতা ভাববেন না : ইমরান খান
নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের ১৪ হাজার বাঙ্কার; পাকিস্তানকে সর্বাত্মক সমর্থন দেবে তুরস্ক; ভারতের তিন বাহিনী প্রধানদের সংবাদ সম্মেলন- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
পাকিস্তানে আটক ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন ভার্থামানকে আজ শুক্রবার মুক্তি দেয়া হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্ট জাতীয় পরিষদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে শান্তির আকাক্সক্ষায় আটক পাইলটকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এ সদিচ্ছাকে দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না ভারতের। এ ছাড়া তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে টেলিফোনে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিতে চান বলেও জানিয়েছেন। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল বলেছেন, ভারতের জনগণ এক হয়ে লড়াই করবে এবং বিজয়ী হবে। অন্যদিকে তুরস্ক জানিয়েছে, ভারতের সাথে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাবে তুরস্ক। খবর ডন নিউজ, দ্য নিউজ, বিবিসি, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পার্লামেন্টে ইমরান খানের ঘোষণার আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ্ মেহমুদ কোরেশি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে ফেরত দিতে তারা প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ভারত যদি সঙ্কট উত্তরণে তার প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতা করে তাহলে আটক ভারতীয় পাইলটকে ফেরত দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন ভার্থামানের মিগ-২১ জেট বিমানটি পাকিস্তানি জঙ্গিবিমান গত বুধবার গুলি করে ভূপাতিত করে এবং এর পাইলট অভিনন্দনকে আটক করে। ওই পাইলটের একটি ভিডিও পাকিস্তান প্রকাশ করার পর ভারত ক্ষুব্ধ হয় এবং সে দেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে প্রতিবাদ জানায়। একই সঙ্গে আটক পাইলটের যেন কোনো ক্ষতি করা না হয় এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানায় ভারত। এ ছাড়া ভারতের সামাজিকমাধ্যমে বহু মানুষ তাদের প্রার্থনার কথা লিখে জানাচ্ছেন যাতে পাকিস্তানে আটক পাইলট সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে আসতে পারেন।
পাইলটকে মুক্তি দেয়া দুর্বলতা হিসেবে ভাববেন না : ইমরান খান
গতকাল পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, সব সঙ্কটই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। পুলওয়ামা হামলার আধা ঘণ্টার মধ্যেই এর দায় আমাদের ওপর চাপানো হলো। আমি ওই হামলার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ শেয়ার করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম।
ইমরান খান পাকিস্তানের গণমাধ্যমের প্রশংসা করে বলেন, ভারতের গণমাধ্যম যুদ্ধের উন্মাদনা তৈরি করেছে, অন্যদিকে আমাদের গণমাধ্যম দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা বুঝতে পারছিলাম ভারত কিছু একটা করবে। কিন্তু আমাদের অভিযান চালানোর উদ্দেশ্য ছিল শক্তি প্রদর্শন এবং আমরা সেটি ঠিক মতোই করেছি।
তিনি বলেন, আমরা ভারতে হামলা করে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটাতে চাইনি। সে জন্য দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে আমাদেরকে। আমি আগেই বলেছি, ভারত যদি কিছু করে তাহলে আমরা তার উপযুক্ত জবাব দেবো। ভারত জাতিসঙ্ঘ আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা আক্রমণ চালানোর দু’দিন পর আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের কাছে কিছু নথি পাঠিয়েছে।
ইমরান বলেন, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। কিন্তু ভারত কোনো পদক্ষেপ নিলে আমরাও প্রতিশোধ নেবো। কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতের দীর্ঘদিনের নৃশংসতার কারণে জম্মু ও কাশ্মিরের নেতারা স্বাধীনতা চান। কাশ্মিরের তুচ্ছ কোনো ঘটনার জন্যও পাকিস্তানকে দায়ী করার ভারতের প্রবণতা কত দিন চলবে প্রশ্ন রেখে ইমরান খান বলেন, কাশ্মির ইস্যু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার পরিস্থিতি কখনোই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেয়া উচিত নয়।
মোদিকে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিতে চান ইমরান : শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে টেলিফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিতে সম্মত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি কি আলোচনায় রাজি? তিনি অভিযোগ করেন, রাজনীতির স্বার্থে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলতে চায় ভারত। তবে পাকিস্তান শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয় বলে উল্লেখ করে কোরেশি বলেন, আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি। ভারত শান্তিকে প্রাধান্য দিলে আমরাও সে জন্য প্রস্তুত আছি। তারা সংলাপকে প্রাধান্য দিলে আমরাও সংলাপের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ভারত আসলে কী চায়? তারা কি রাজনীতির জন্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করতে চায়? নিরীহ মানুষের জীবন ধ্বংস করতে চায়? এটি বিচক্ষণ কৌশল নয়। পাকিস্তান সব সময়ই শান্তি আলোচনার ডাক দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত উগ্রবাদ প্রশ্নে আলোচনা করতে চাইলে আমরাও প্রস্তুত আছি।
ভারতের জনগণ লড়াই করে বিজয়ী হবে : মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শত্রু দেশগুলোকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, ভারতকে কোনোভাবেই দমানো যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজেপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পুরো জাতি সেনাদের পাশে আছে এবং ভারতের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সঙ্গে লড়াই করবে ও বিজয়ী হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে তার দেশের উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই মোদি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণ দেন মোদি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী হামলা চালানোর কারণগুলোর একটি হলো ভারতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেক নাগরিককেই একজন ভারতীয় সেনার মতো করেই সতর্ক থাকতে হবে। ভারত এক হয়ে লড়াই করবে এবং বিজয়ী হবে।
ভারতের সামরিক পোস্টে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ : অধিকৃত জম্মু ও কশ্মিরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সামরিক পোস্টে গতকাল সকালে মর্টার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনারা। ভারতের অভিযোগ, সকাল ৬ টার দিকে পাকিস্তানের সেনারা বিনা উসকানিতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মর্টার ছুড়ে ও ছোট অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। ভারতও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
সুষমা স্বরাজ যাওয়ার প্রতিবাদে ওআইসি সম্মেলন বর্জনের হুমকি পাকিস্তানের : পাকিস্তানের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে আবু ধাবিতে অনুষ্ঠেয় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) বৈঠকে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত গেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাকে গেস্ট অব অনার হিসেবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ওআইসি। এর প্রতিবাদে পাকিস্তান ওই সম্মেলন বর্জনের হুমকি দিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, ওই সম্মেলনে আমি যোগ দেবো না। বিষয়টি নিয়ে আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং সম্মেলনে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধিতা করেছি। আমি তাকে স্পষ্ট করে বলেছি, ভারত আগ্রাসন চালিয়েছে। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওআইসিতে সুষমা স্বরাজ উপস্থিত থাকলে সেখানে যোগ দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম ওআইসির সম্মেলনে ভারতকে গেস্ট অব অনার হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানকে সমর্থন দেবে তুরস্ক : ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপের সময় তার দেশের এ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলুর সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির টেলিফোনে কথা হয়েছে। ফোনালাপে পাকিস্তানকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার কথা জানানো হয়েছে তুরস্কের পক্ষ থেকে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, আবুধাবিতে ওআইসির আসন্ন বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হলে তার বিরোধিতা করবে তুরস্ক।
১৪ হাজার বাঙ্কার নির্মাণ করছে ভারত : পাকিস্তান সীমান্তে ১৪ হাজার বাঙ্কার নির্মাণ করছে ভারত। এসব বাঙ্কারে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ও সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে এসব বাঙ্কার নির্মাণ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোনো যুদ্ধ বা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের যাতে অন্যত্র না সরিয়েই নিরাপদে সেখানে রাখা যায় সে জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদি সরকার গত সপ্তাহ থেকেই বাঙ্কার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। দু’দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা ও হামলার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তা কমাতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পাকিস্তানের দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকেও বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ নিয়ে তারা একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল স্থগিত : ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলাচলকারী সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে পাকিস্তান। এ ট্রেনটি পাকিস্তানের লাহোর থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার ছেড়ে যায়। এতে বলা হয়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে ডন নিউজ টিভি বলেছে, পাকিস্তান ওই ট্রেনটির সেবা স্থগিত করেছে। পুলওয়ামা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকতে পারে। ১৯৮৬ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে চলাচল করছে ট্রেনটি।
ভারতীয় যৌথবাহিনীর ব্রিফিং : পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার পর ভারতের যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি জঙ্গিবিমানগুলো আমাদের সামরিক স্থাপনা টার্গেট করে বুধবার হামলা চালিয়েছে। সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুরেন্দ্র সিং মহাল বলেছেন, পাকিস্তানি জেটবিমানগুলো জম্মু ও কাশ্মিরে আমাদের ব্রিগেড সদর দফতর, ব্যাটালিয়ন সদর দফতর ও লজিস্টিক স্থাপনায় আঘাত করার চেষ্টা করে। বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল আর জি কে কাপুর বলেন, আমাদের হাতে প্রমাণ আছে, পাকিস্তানি এফ-১৬ জঙ্গিবিমানগুলো আমেরিকান দূরপাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত ছিল এবং সেগুলো আমাদের সামরিক স্থাপনা টার্গেট করে হামলা চালায়। পাকিস্তানি বিমানগুলোর মধ্যে এফ-১৬, এফ-১৭ ও সম্ভবত কয়েকটি মিরেজ বিমান ছিল। ক্ষেপণাস্ত্রের অংশবিশেষ ব্রিফিংকালে দেখানো হয়। তিনি বলেন, ভারতের ৮টি জঙ্গিবিমান পাকিস্তানের ২৪টি জঙ্গি বিমানকে ধাওয়া করে। পরে সেগুলো পালিয়ে যায়। পাকিস্তানি বিমানগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখার ১০ কিলোমিটার ভেতরে চলে এসেছিল বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা