জাতীয় শহীদ সেনা দিবস আজ
দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে- এসএম মিন্টু
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৭, আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনাদিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত, লোমহর্ষক ও হৃদয়বিদারক অধ্যায় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর আজ। ১৬ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দফতর ঢাকার পিলখানায় রহস্যময় এক বিদ্রোহের নামে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা বর্বোরচিত ও নির্মম হত্যার শিকার হন। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় নিরাপরাধ নারী ও নিষ্পাপ শিশুসহ ৭৪ জন মারা যান।
এ দিকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনাদিবস’ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রোববার এক পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে বলা হয়, সরকার প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনাদিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ওই দিন ‘জাতীয় শহীদ সেনাদিবস’ (সরকারি ছুটি ছাড়া) পালনের জন্য ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশ্বের আর কোথাও এক দিনে এত সামরিক কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড ইতঃপূর্বে ঘটেনি। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর প্রহসনের বিচারে অনেক নিরপরাধ সৈনিককে শাস্তি দেয়া হলেও নৃশংস ও লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশলীবরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় ১৬ বছরেও অন্ধকারে রয়ে গেছে হত্যার আসল রহস্য। বছরের পর বছর ধরে ঝুলছে বিস্ফোরক আইনের মামলাটিও। তবে গত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর বিডিআর হত্যাকাণ্ড বিষয়ে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন হওয়ায় সত্য উন্মোচনে আশার আলো দেখছেন শহীদদের স্বজনরা। কমিশনের তদন্ত শেষ হওয়ার পর সেটি জনসম্মুখে প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
শহীদদের স্বজনদের অভিযোগ, নৃশংস ও লোমহর্ষক এই ঘটনার নেপথ্যের পরিকল্পনকারী ও খলনায়কদের রক্ষা করতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। অথচ পুরো হত্যাযজ্ঞের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন শেখ হাসিনা নিজেই। সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, মির্জা আযম, তোরাব আলীসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানরা। তাদের অনেকেই এরই মধ্যে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দেশে ফেরত এনে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিয়েছেন শহীদদের পরিবার। এরইমধ্যে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ তদন্ত করে হত্যাযজ্ঞের নীলনকশার সাথে জড়িতদের নাম ও দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। পাশাপাশি তাদের তদন্তের ক্ষেত্রে বেঁচে ফিরে আসা ব্যক্তি; সামরিক বাহিনী; রথ্যাব ও পুলিশের দায়িত্বশীল ব্যক্তি; ডিজিএফআই; এনএসআই; হুকুমদাতা; সামরিক অপারেশনে বাধাদানকারী; সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়; রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা; বিদেশী সংশ্লিষ্টতা এবং একই সাথে সেনা আইন ভঙ্গের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তদন্তের বিষয়ে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনে’র সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো: শাহনেওয়াজ খান চন্দন বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। তদন্ত শেষ হলে গোটা জাতি এ বিষয়ে জানতে পারবে।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত সাবেক বিডিআরের (বর্তমান বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে যারা নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়েছেন, তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি কমিশন তদন্ত করছে- এই নেপথ্যের খলনায়কদের যেন জাতির সামনে আনা হয়। আমরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিক, সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছি। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাবা-মাকে এভাবে নির্মমভাবে হারানোর ট্রমা থেকে বের হতে পারি না এখনো। এখনো ভেঙে পড়ি। বাবা-মায়ের স্মৃতিগুলো মনে আগলে বেঁচে আছি। আমি চাই না এমন নির্মম ও বর্বরতার ঘটনা আর কারো জীবনে না আসুক।
এ ঘটনায় নির্মমভাবে নিহত কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিন ফেরদৌসী বলেন, আমাদের তিনটি চাওয়া ছিল। ‘জাতীয় শহীদ সেনাদিবস’ ঘোষণা করা, দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা ও শহীদদের মর্যাদা প্রদান। দিনটিকে শহিদ সেনাদিবস হিসেবে ঘোষণা করায় আমরা আনন্দিত। তবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কুশিলবদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্র করেছে- তাদের বিচারের আওতায় সর্বাত্মক গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সবার পরিবারই ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশেষভাবে পালন করে। এ জন্য সম্প্রতি আমরা ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করেছি। আগামীকাল (আজ) সকালে আমরা বনানী সামরিক কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাব। এরপর রাওয়া ক্লাবে একটি শোকসভা করা হবে। পরে মিরপুর-২ নম্বরের একটি মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
নিহত কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে আইনজীবী সাকিব রহমান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনা আমাদের প্রাণের দাবি। যেহেতু সম্প্রতি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কোনো বিচারিক ত্রুটি ছিল না, সেহেতু আমরা চাইব হত্যা মামলার আসামিদের যেন জামিন দেয়া না হয়। পাশাপাশি নেপথ্য নায়কদের আইনের আনা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে বিডিআর দরবার হলে নির্ধারিত বার্ষিক (দরবার) সভা চলাকালে বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একদল সৈনিক তাদের মহাপরিচালকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। এ সময় মহাপরিচালকসহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা ও তাদের পরিবারকে জিম্মি করে। পিলখানার চারটি মূল ফটকই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুড়তে থাকে তারা। জন্ম নেয় ইতিহাসের এক বীভৎস অধ্যায়ের। টানা ৩৬ ঘণ্টা পর এই বিদ্রোহের অবসান ঘটলেও ততক্ষণে বিদ্রোহী সৈনিকেরা কেড়ে নেয় ৫৭ জন দক্ষ সেনা কর্মকর্তার জীবন।
পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক নবজ্যোতি খিসা। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। ফলে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।
অন্য দিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। এ দিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ, যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়। এ ছাড়া বিজিবির নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলার বিচার শেষে দেশজুড়ে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিডিআর গ্রেফতার জওয়ানদের নিরপরাধ বলে দাবি করেন তাদের স্বজনরা।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুন্যাল-২-এর বিচারক ইব্রাহীম মিয়ার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ ও জামিন শুনানি শেষে বিস্ফোরক মামলার আসামিদের জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, যারা বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল নেই, তারা জামিনে মুক্তি পাবেন। একইভাবে হত্যা মামলায় এরই মধ্যে যাদের সাজাভোগ সম্পন্ন হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যদি উচ্চ আদালতে আপিল না থাকে, তাহলে তারাও মুক্ত হবেন। তবে কতজন মুক্তি পাচ্ছেন, তা আদেশের দিন নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। শর্তাবলী পর্যালোচনা করে গত ২২ জানুয়ারি ১৭৮ জনের জামিননামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। পরদিন ২৩ জানুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে ১৬ বছর পর কারামুক্ত হন ১৭৮ জন সাবেক বিডিআর সদস্য।
সম্প্রতি রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির এক আলোচনায় অ্যাটর্নি জেনালে অ্যাডভোকেট মো: আসাদুজ্জামান বলেছেন, পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের কবর রচনা করে নৈরাজ্যবাদের জন্ম দিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিডিআরের পোশাক পরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের অনেকেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে আমরা জাতির সূর্যসন্তানদের হারিয়েছি। তাদের হারানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভিতকে আঘাত করা হয়েছে।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় : ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলছে। বিস্ফোরক আইনের মামলা পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ২০ জন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে সরকার। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো: বোরহান উদ্দিন, ফরহাদ নিয়ন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মোসাম্মৎ রোভানা নাসরিন শেফালী, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মো: মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো: শফিউল বশর সজল, গোলাম মোক্তাদির উজ্জ্বল, হান্নান ভূঁইয়া, মো: আবদুল লতিফ, মো: মেহেদী হাসান জুয়েল, মো: হেলাল উদ্দিন, গাজী মাশকুরুল আলম সৌরভ, মো: জিল্লুর রহমান, মাহফুজার রহমান ইলিয়াস, মো: মিজানুর রহমান চৌধুরী, মো: মেহেবুব হোসেন, মো: মিজানুর রহমান শিহাব, মো: খুরশিদ আলম ও আজগর হোছাইন। তাদের নিয়োগাদেশে বলা হয়, ‘লালবাগ (ডিএমপি) থানার মামলা নম্বর ৬৫, তারিখ ২৮-০২-২০০৯ থেকে উদ্ধৃত বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা পরিচালনা করার জন্য ২০ জন আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নিয়োগ করা হলো।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত আবার শুরুর দাবি ওঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা। ওই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার। এই কমিশন এখন কাজ করছে।
শহীদ সেনা দিবসে আজ সারা দেশে বিএনপির দোয়া মাহফিল : জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি। দলটির পক্ষে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এবার ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জাতীয়ভাবে এই দিবসটি পালনে সরকারের ঘোষণার প্রতি বিএনপি সমর্থন জানাচ্ছে। তিনি বলেন এতো দিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তাদের কৃত অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য এই দিবসটিকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করেছে।
রিজভী জানান দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি সকালে বনানী সেনা কবরস্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে এবং সেখানে দোয়া অনুষ্ঠান হবে এবং একই সাথে সারা দেশে জেলা-মহানগরে বিএনপির উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। আলোচনা সভা হবে বিকেল সাড়ে ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।
গতকাল সোমবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা