২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ শাবান ১৪৪৬
`
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব

নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে না হলে মার্চের মধ্যে

-

চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। গত রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসসচিব বলেন, কালবৈশাখী ও ঝড়-বৃষ্টির কারণে এপ্রিল থেকে জুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযোগী না। এটা নিয়ে (নির্বাচন কবে হবে) অনেকবার কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আগে দুটো তারিখ বলেছিলেন, একটা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। আর যদি তারা চান আমরা আরো কিছুদিন থাকি তাহলে আগামী বছরের প্রথমার্ধে হবে। কিন্তু এখানে বাস্তবতা হচ্ছে, এপ্রিল মাস থেকেই কালবৈশাখী ও ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। জুনে আবার বর্ষাকাল শুরু হয়ে যায়। ফলে ওই তিনটা মাস নির্বাচনের জন্য অতটা উপযোগী না। সে জন্য আমাদের ধারণা নির্বাচন হয় ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নতুবা সর্বোচ্চ মার্চের মধ্যে।
সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক হচ্ছে : প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে শিগগিরই ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক করা হবে। আজকে (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, খাদ্য উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় সরকারের সবস্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ই-ফাইলিং চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেখা গেছে বিডাতে ই-ফাইলিং আছে, কিন্তু অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানে বা মন্ত্রণালয়ে দেখা যাচ্ছে নেই। এতে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ধীর হয়ে যায়। সমন্বয় যেন সহজ হয় এবং দ্রুততার সাথে কাজ করা যায় সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব এটা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর মাধ্যমে দুর্নীতি কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ই-ফাইলিংয়ের কারণে দুর্নীতি অনেক কমে আসে। যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, এস্তোনিয়া কিভাবে দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে সেটা তারা আমাদের সাথে শেয়ার করতে চেয়েছেন।
তৃতীয় পক্ষ দিয়ে প্রকল্পগুলো পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৯-২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গড়ে ৭০ শতাংশ ব্যয় বেড়েছিল। রাজনৈতিক প্রভাব ও অযৌক্তিক ব্যয় বাড়ায় ১৪-২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ অপচয় হয়েছে।
মেট্রোরেলের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেলের আরেকটি অংশের ৫.২ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প এডিবি পুনর্মূল্যায়ন করে দেখেছে যে এখানেই ৫০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা যায়।
নাহিদ ইসলাম এখনো পদত্যাগ করেননি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেন, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। আমি সেটাই জানি। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনসহ অন্যান্য বিষয়ে নাহিদ ইসলামের ইচ্ছায় হবে। এটাতে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
এ টি এম আজহারের মুক্তি আদালতের বিষয় : জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসসচিব বলেন, প্রতিবাদ করার অধিকার সব দলের আছে। আমরা চাই এই প্রতিবাদটা যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়। যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়।
এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আদালতের এখতিয়ার। আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিষয়টা তারাই দেখবেন।


আরো সংবাদ



premium cement