সমাধান ছাড়াই বৈঠক শেষ, কর্মবিরতি চলবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৫
সোমবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশে আকস্মিকভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা তাদের বেতনের সাথে রানিং ভাতা যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা সংক্রান্ত দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্ম বিরতির ডাক দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দেয়। কবে নাগাদ রেল চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে সেই ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেননি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেশের কোনো রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
দেশের সব রেলস্টেশনে টিকিট কাটার পরও ট্রেনে উঠতে না পেরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন লাখো যাত্রী। আগে থেকে কোনো ঘোষণা না থাকায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে অনেক গুণ। বিভিন্ন স্টেশনে দেখা যায় আবালবৃদ্ধবনিতা অনিশ্চয়তার মধ্যে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। অনেক স্টেশনে সঠিক তথ্য দেয়ার মতো লোকও ছিল না। এ সময় কোনো কোনো স্টেশনে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন, আবার কোথাও উত্তেজিত যাত্রীরা স্টেশন মাস্টার ও ম্যানেজারের রুম ভাঙচুর করেন।
গতকাল বিকেলের পর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে রার্নিং স্টাফ নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধিদলের সাথে দাবি-দাওয়া নিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সেখানেও উদ্বুব্ধ পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণে মেলেনি কোনো সমাধান।
কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের ভিআইপি রুমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি চলে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত। বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ফাহিমুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয় অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে রার্নিং স্টাফদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা চলার এক পর্যায়ে সমাধান ছাড়াই বৈঠক থেকে স্টাফরা বেরিয়ে যান।
বৈঠকে উপস্থিত একজন রানিং স্টাফ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব ও মহাপরিচালকের সাথে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। বৈঠক চলাকালীনই আমি বের হয়ে এসেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা যারা আছেন বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে এখন পর্যন্ত অনড় আছি বলে মন্তব্য করেন।
এ দিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়া/চাহিদা পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সর্বোচ্চ সচেষ্ট। এরই মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়াগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পত্র যোগাযোগের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও অব্যাহত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এরই মধ্যে তাদের রানিং অ্যালাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইলেজ অ্যালাউন্স পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা ও ১০০ মাইল দূরত্বের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। রানিং স্টাফদের অন্যান্য দাবি আদায়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক ও সচেষ্ট রয়েছে।
এর আগে সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে যান রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যাত্রীদের জিম্মি করে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মসূচি দুঃখজনক। তিনি বলেন, স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনার দরজা সব সময় খোলা আছে। প্রয়োজনে আমরা তাদের সাথে আবারো আলোচনা করব এবং অর্থ বিভাগেও তাদের এই দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করব। তিনি আরো বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে কম হয় সেজন্য এরই মধ্যে গণমাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও কোনো যাত্রী যদি স্টেশনে আসেন তাদের সুবিধা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যাতে করে রেলের যে রুটগুলো আছে সেখানে যাত্রীরা যেতে পারেন। রেলপথ উপদেষ্টা আরো বলেন, স্টাফদের মাইলেজ অ্যালাউন্সের যে দাবি, তা দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ আছে। তাদের এই দাবির অনেক অংশ আমরা এরই মধ্যে পূরণ করেছি। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।
কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের ৭টি প্ল্যাটফরমের একটিতে কোনো ট্রেন নেই। একটি লাইনে একটি ইঞ্জিন দাঁড়িয়ে আছে। আর পুরো স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে ভেতরে পুরোটাই জনমানবহীন। কিছু যাত্রী স্টেশনে এসে জানতে পারেন ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। তারা কেউ স্টেশন ম্যানেজারের রুমে, কেউ আনসারদের কাছে কারণ জানতে চান। কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রেন বন্ধ থাকায়। এর মধ্যে আগাম টিকিট কাটা অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে এসে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে ট্রেন স্টেশনে গিয়ে যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এর মধ্যে রাজশাহী স্টেশনে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন ম্যানেজারের রুমে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরএনবি ও পুলিশ সদস্যরা নজরদারি বাড়িয়েছেন।
রার্নিং স্টাফ হচ্ছেন ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত পরিচালক (গার্ড), ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। এরা ট্রেন চালানোর সাথে সরাসরি জড়িত। এ ধরনের কর্মী আছে প্রায় দুই হাজার। তারা সাধারণত দীর্ঘসময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ট্রেন চালক ও সহকারী চালকের সংখ্যা এক হাজারের কিছু বেশি। পরিচালক ও টিটিই মিলিয়ে রানিং স্টাফের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৯০০ জনের মতো।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে হলে আট ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময় কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেয়া হয়; যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ সুবিধা সীমিত করতে রেল মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে রানিং স্টাফদের পেনশন ও আনুতোষিক ভাতায় মূল বেতনের সাথে পাওয়া কোনো ভাতা যোগ করার বিষয়টি বাদ দেয়া হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রানিং স্টাফরা।
মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে তিন বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন তারা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকাসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলসচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন। এরপর ৫ আগস্ট পরবর্তি সময়ে আবারো আন্দোলন ও আলোচনা শুরু করেন রানিং স্টাফরা।
রাজশাহী স্টেশনে ভাঙচুর
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের ডাকা কর্মবিরতিতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ। ট্রেন না পেয়ে এবং টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন যাত্রীরা। ভাঙচুরের পর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে ফিরে গেছেন তারা।
ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেনে টিকিট পরীক্ষক বা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা কিছু চেয়ারও ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেনাসদস্যদের হস্তক্ষেপে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে ফিরে যান যাত্রীরা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক ময়েন উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, কাউন্টার থেকে যারা টিকিট কেটেছিলেন, তাদের কাউন্টার থেকেই টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। আর অনলাইনে যারা টিকিট কাটেন, তাদের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফেরত দেয়া হয়েছে। স্টেশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তিনি আরো জানান, সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত রাজশাহী থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ছিল না। তবে গতকাল ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যের ছয়টি ট্রেন ছিল। এসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি।
চট্টগ্রাম বু্যুরো জানায়, গতকাল সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছেন অনেক যাত্রী। তারা বলছেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে সেটি জানতাম না। স্টেশনে এসে দেখি টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। সরকারের উচিত দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা। এ দিকে রেলের বিকল্প হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোতে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আবু জাফর মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রীরা তাদের কেনা রেল টিকিটে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, সারা দেশে ট্রেন চরাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী। তাদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে টিকিটের টাকা ফেরৎ নিয়ে বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও সান্তাহারের যাত্রীরা। এ দিকে রেলের বিকল্প হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোতে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হলেও তাতে তেমন কাউকে যেতে দেখা যায়নি।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ১৪টি লোকাল ও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে। এসব ট্রেনে নীলফামারী জেলার আটটি স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। নীলফামারী রেলস্টেশন মাস্টার ময়নুল ইসলাম জানান ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার রেলওয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সাধারণ মানুষজন ট্রেন বন্ধের খবরটি না জানার কারণে স্টেশনে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, সোমবার মধ্যরাতের পর চুয়াডাঙ্গা থেকে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরা। গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে অনেক যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা অনেকেই ট্রেন চলাচল বন্ধের খবর জানতেন না। ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যাত্রীরা আসছেন, ফিরে যাচ্ছেন। আজকের যাত্রার যাত্রীরা কাউন্টার থেকে টিকিটের টাকা রিফান্ড করছেন। অনলাইনে যারা টিকিট কেটেছিলেন তারা অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ফেরৎ নেবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা