১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

আদালত থেকে উধাও হওয়া নথি মিলল ভাঙারির দোকানে

-

চট্টগ্রাম আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তার (মহানগর পিপি) কার্যালয় থেকে উধাও হওয়া এক হাজার ৯১১টি মামলার নথিপত্রের বেশ কিছু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম জানায়নি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার এক ভাঙারি দোকানের গুদাম থেকে প্রায় ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, ওসব নথিপত্র পরিত্যক্ত মনে করে আদালতের এক চা-দোকানের কর্মচারী সেগুলো ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছিল।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আদালত থেকে নথিপত্র চুরির ঘটনার পর থেকেই সেগুলো উদ্ধারে আমরা প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে এগিয়েছি। একজনকে গ্রেফতারের পর তার তথ্যে একটি ভাঙারি দোকান থেকে ওসব নথিপত্র উদ্ধার করি।’ তিনি জানান, গ্রেফতার ব্যক্তি চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় একটি চা দোকানে কাজ করে। আদালতে পিপি অফিসের সামনে পড়ে থাকা নথিপত্রগুলো সে নিয়ে ভাঙারি দোকানে বিক্রি করেছে। কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছি। বাকি নথিপত্র উদ্ধার করতে আমরা তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। এর আগে, চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়ার কার্যালয় থেকে এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) উধাওয়ের ঘটনা গত ৫ জানুয়ারি জানাজানি হয়। এরপর পিপি নগরীর কোতোয়ালি থানায় এ সংক্রান্তে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো।
বিষয়টি অবগত হয়ে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে বিষয়টি তদন্তের আদেশ দেন। বিচারপতি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের কোনো এজলাস বা চেম্বার থেকে কোনো ফৌজদারি মামলার নথি চুরি হয়নি। সংবাদপত্রে যে এক হাজার ৯১১টি কেস ডকেট চুরির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বারান্দা থেকে চুরি হয়েছে।
কেইস ডকেটগুলো ছিল ২০১৫ সালের আগের ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত। বেশির ভাগ মামলা এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এ ছাড়া ফৌজদারি যে কোনো মামলার কেস ডকেটের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে আদালতে বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা লাকসামে ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ীসহ নিহত ২ সাজানো ট্রাইব্যুনাল দিয়ে জামায়াতের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে : গোলাম পরোয়ার ইমরান খানের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না পিটিআই ঘুষের মামলার রায় স্থগিত রাখার ট্রাম্পের আবেদন খারিজ চীনে শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ প্রথমবারের মতো দেশে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল, প্রতিপক্ষ বার্সা আবু তালেব মণ্ডলের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক জুলাই ঘোষণাপত্রে সংবিধান নিয়ে কী ভাবনা ইউক্রেন-মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আলোচনায় ম্যাক্রোঁ ও স্টারমার

সকল