সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা ভোট দিতে চায় : ফখরুল
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২০
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সংস্কার তো চাই। ২০১৬ সালে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ দিয়েছিলেন। এরপর আমাদের নেতা তারেক রহমান দুই বছর আগে ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছিলেন। সেই ৩১ দফাই সংস্কার। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না। তারা চায় যেন ভোট দিতে পারে। আমাদের দেশটা যেন শান্তিতে থাকে। জিনিসপত্রের দাম যেন কম হয়। মারামারি যেন না হয়। চুরি-ডাকাতি যেন না হয়। আমাদের নেতা তারেক রহমান ওই বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সবাইকে দেখাচ্ছেন। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। তিনি গতকাল বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া হাইস্কুল মাঠে সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন এবং সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ বছর কেউ ভোট দিতে পারে নাই। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে সব মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করব। আমরা ভোট দিতে পারলে সঠিক লোক নির্বাচন করতে পারব এবং সেই লোক পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য ভালো ভালো কাজ করবে। তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১৫ বছর একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বার বার জেলে গেছি। আপনারাও জেলে গেছেন। পালিয়ে থেকেছেন। ঘরে থাকতে পারেননি। সারা বাংলাদেশে তারা ভয়, ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। জোর করে তিনটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসেছিল। সে ভেবেছিল কোনো দিন ক্ষমতা থেকে যাবে না। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। সেই নেত্রী যিনি সবসময় বলতেন আমি পালাই না। আমি ভয় পাই না। আমি মুজিবের বেটি, আমি পালাই না। সেই মহিলা তখন জীবন নিয়ে তারা নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিয়ে, সারা দেশের অসংখ্য আওয়ামী লীগারদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। এই হলো ফ্যাসিবাদের পরিণতি। যারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা