গুপ্তহত্যা বন্ধে চার দাবি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে

গুপ্তহত্যা ও হামলার ঘটনায় নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে চার দফা দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সাথে দেখা করে তারা দাবিগুলো তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে ছাত্র প্রতিনিধিরা বলেন, অতীতে বেশ কিছু ইস্যুতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের নমনীয়তাই আজকের পরিণতির কারণ হিসেবে মনে করে দেশের ছাত্র সমাজ। এ অবস্থায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদার করে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য চার দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
দাবিগুলো হলো একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। যার দায়িত্ব হবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ বা বিগত রেজিমের আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা বের করা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।

প্রতিটি থানায় কমপক্ষে পাঁচটি টহল গাড়ি সার্বক্ষণিক টহলে থাকতে হবে। তারা ক্রাইম পেট্রোলিং করতে থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে।
প্রতিটি ওয়ার্ড এরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে কমপক্ষে চার সদস্যবিশিষ্ট অ-প্রাণঘাতী অস্ত্র (নন-লেথাল উইপন) ধারী একটি প্লাটুন বা টিম নিযুক্ত করতে হবে। তারা ওই নির্দিষ্ট এলাকার পাহারার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবে। এদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের পরও এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনলাইনে ও ময়দানে সক্রিয় সব নেতা-কর্মী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এই টাস্কফোর্সের কার্যক্রমকে বেগবান করতে রাষ্ট্রের সকল গোয়েন্দা সংস্থার তৎপর ভূমিকা পালন করতে হবে। এসব দাবি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউসার হাবিব, ফারাবি জিসান, মুহতাসিম ফুয়াদ, আয়াতুল্লাহ বেহেশতি, আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান, জানে আলম অপু, মাহমুদা সুলতানা রিমি, জাকির হোসেন মনজু, সাকিব হাসান, সাকিন সাবাব, নাইম আবেদীন ও আসাদ বিন রনি।