২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
নবী হোসাইনের জামিন

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অশনি সঙ্কেত

-

রোহিঙ্গা ইয়াবা সম্রাট নবী হোসাইন আবারো বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং মাদকবিরোধী প্রচেষ্টার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ইয়াবা পাচারে তার সক্রিয়তা নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সালের এর ৩১ শে আগস্ট আটকের কিছুদিন পর এক অজানা শক্তির প্রভাবে জামিন পেয়ে রহস্যজনকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দ্রুত তার অপরাধ চক্রকে আবার সক্রিয় করে তুলছে সে।
ইয়াঙ্গুনের পুরনো মাদক কারবারিদের সাথে করে যোগাযোগ গড়ে তুলে সে প্রায় দুই কোটি কিয়াত সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় বড় মাপের মাদক কারবারিদের কাছ থেকে আরো এক কোটি টাকা সংগ্রহ করে বলে জানা গেছে। এই অর্থ ব্যবহার করে নবী হোসাইন নাফ নদীর তোঁতার দ্বীপ লিজ নিচ্ছেন, যা মাদক পাচারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে অতীতেও ব্যবহার হয়েছে। এই দ্বীপটি সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) কাছ থেকে লিজ নিয়ে সে ইয়াবা পাচারের জন্য একটি নিরাপদ রুট তৈরি করতে চাইছে।
নবী হোসাইন তার অপরাধ কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং টেকসই করতে আরাকান আর্মি (এএ)-এর সাথে ঘনিষ্ঠ মিত্রতা গড়ে তুলেছেন, যারা আঞ্চলিক মাদক কারবারের মূল নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে থাকে। নির্ভরযোগ্য তথ্যের বরাতে জানা যায় যে, নবী হোসাইন তোঁতার দ্বীপে এক বছরের জন্য ১০ হাজার লক্ষ কিয়াতে (প্রায় তিন কোটি টাকা) দিয়ে লিজ নিতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং মংডুতে তার নির্ভরযোগ্য সহযোগীদের সক্রিয় করে তুলছেন যাতে আরাকান আর্মির সাথে কার্যকর সমন্বয় বজায় থাকে।
সন্ত্রাসী আরাকান আর্মি তাদের অবৈধ বিশাল মাফিয়া কার্যক্রম চালানোর জন্য নবী হোসাইনের মতো মাদক পাচারকারীদের উপর নির্ভর করে থাকে, যাতে করে তাদের অবৈধ অর্থের জোগানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এর আরেকটি কারণ অপেক্ষাকৃত নতুন মাদক সম্রাটদের চেয়ে এদের মতো ব্যক্তিদের সাথে কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
এ ছাড়াও নবী হোসাইনের তরুণ রোহিঙ্গাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের ‘আরাকানের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের’ অজুহাতে মাদক বাহক (ক্যারিয়ার) হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। স্থানীয় এবং ক্যাম্পভিত্তিক সিন্ডিকেটগুলোও এ ব্যাপারে তাকে পূর্ণ সহয়তা করে চলছে।
কে এই নবী হোসাইন?
৪৭ বছর বয়সী রোহিঙ্গা নাগরিক নবী হোসাইন আন্তর্জাতিক অপরাধ জগতের অন্যতম আলোচিত নাম। মিয়ানমারের আরাকানের চাকমা খাটা গ্রামে জন্ম নেয়া নবী হোসাইন ২০১২ সালে তার গ্রামের একজনকে হত্যার পর মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। সে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার)-এর প্রধান আতাউল্লাহর সাথে কানেক্টেড হয়ে পড়ে। তখন থেকেই তার অপরাধ জগতে পা রাখা। বাংলা এবং বার্মিজ ভাষায় সাবলীল নবী-হোসাইন ২০১৮ সালে আতাউল্লাহর নির্দেশে বাংলাদেশে ফিরে আসে।
তবে ২০২০ সালে আরসার নেতৃত্বের সাথে অর্থনৈতিক ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নবী-হোসাইন নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এএআরএ) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সামরিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর পাশাপাশি, তথাককথিত নামেমাত্র রাজনৈতিক শাখা হিসেবে আরাকান রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন (এএআরও) তৈরি করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন এনায়েত উল্লাহ। এই সংগঠনগুলোর মাধ্যমে নবী-হোসাইন মাদক পাচার, অস্ত্র চোরাচালান এবং বিভিন্ন এলাকা নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা দেখিয়েছেন, যা তাকে অপরাধ জগতের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে নবী হোসাইনের সম্পর্ক : বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে নবী হোসাইন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা পেয়েছিলেন। বিশেষ করে কক্সবাজারের কুখ্যাত ইয়াবা কারবারি বদী এবং চট্টগ্রামের আ জ ম নাসিরের সাথে নবী হোসাইনের মাদক সরবরাহের সরাসরি সংযোগ ছিল। আওয়ামী লীগের মাদক সাম্রাজ্যের সাথে তার গভীর সম্পর্কের কারণে নবী-হোসাইনের নেটওয়ার্ক থেকে আসা মাদক সারা দেশের আওয়ামী অপরাধ নেটওয়ার্কের কাছে সহজেই পৌঁছাত। এই সহযোগিতার ফলে নবী হোসাইন আওয়ামী অপরাধ চক্রের মাদক সরবরাহ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
বর্তমানে জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর নবী-হোসাইন স্থানীয় অপরাধ চক্র এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু কর্মকর্তার সাথে মিলে তার অপকর্মের জাল বিস্তার করে যাচ্ছেন। নাফ নদীর তোঁতার দ্বীপকে চোরাচালানের একটি নিরাপদ ঘাঁটিতে পরিণত করে নিজের অপ্রাধ জগতের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করতে সে কাজ করে যাচ্ছে।
তার এই অপরাধ সাম্রাজ্যের কারণে নবী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল। ২০২২ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জীবিত বা মৃত নবী-হোসাইনের খোঁজ দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। এটি ছিল বাংলাদেশের অপরাধ দমনে একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে তার গ্রেফতারের পর রহস্যময়ভাবে জামিনে মুক্তি পাওয়া তার অপরাধ নেটওয়ার্ক পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি করে এবং এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক জাতীয় নিরাপত্তা ও মাদক দমনে এক নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তোঁতার দ্বীপের কৌশলগত ব্যবহার : জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর নবী হোসাইন নাফ নদীর তোঁতার দ্বীপকে তার চোরাচালানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। ইয়াঙ্গুনের মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ২ কোটি কিয়াত এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে তিনি আরাকান আর্মির কাছ থেকে এই দ্বীপটি লিজ নিয়েছেন। জানা গেছে, তিনি ১০ হাজার লাখ কিয়াত (প্রায় ৩ কোটি টাকা) দিয়ে ১ বছরের জন্য এই দ্বীপ লিজ নেয়ার চুক্তি করছেন।
এই দ্বীপ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নবী একটি নিরাপদ করিডোর তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে, যা পূর্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে সহায়তা করছে। এই চুক্তি কেবল তার চোরাচালানের রুটকে পুনরুজ্জীবিত করেনি, বরং আরাকান আর্মিকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছে। এই কার্যক্রম বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং মাদকবিরোধী প্রচেষ্টার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব : সীমান্তের নিরাপত্তা ও বাংলাদেশের সার্বভৈমত্বের ওপর হুমকি : নবী হোসাইনের অপরাধ নেটওয়ার্ক আবার সক্রিয় হওয়ায় বিশেষ করে নাফ নদের সীমান্ত অঞ্চলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে, তার চক্রের দ্বারা আমদানি করা মাদক ব্যাপকভাবে দেশের যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ও সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। চোরাচালানের কেন্দ্র হিসেবে তোঁতার দ্বীপ ব্যবহার করে মাদক ও অস্ত্র পাচারের জন্য একটি কৌশলগত রুট তৈরি করা, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী আরাকান আর্মির (এএ) সাথে নবী হোসাইনের সহযোগিতা, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্তের অপরাধকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চ্যালেঞ্জ : নবী হোসাইনের নেটওয়ার্কের আবার শক্তিশালী হওয়া বাংলাদেশী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে এক জটিল চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। আগের ক্র্যাকডাউন এবং তার গ্রেফতার সত্ত্বেও সহজেই এমন হাই প্রোফাইল অপরাধী জামিনে মুক্তি পাওয়ার কারণে সে দ্রুতই তার অপরাধ চক্রকে পুনর্গঠনের সাহস পেয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন অপরাধবিষয়ক বিশ্লেষকরা। তারা এও মনে করছেন, এরকম ব্যাপার জনগণের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা হ্রাস করেছে এবং সংগঠিত অপরাধের জন্য একপ্রকার নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছে।
গ্রেফতার ও মুক্তি : ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট কক্সবাজারের উখিয়ায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযানে নবী হোসাইন এবং তার ভাই সাইদ হোসাইন ওরফে বুলু গ্রেফতার হন। তাদের কাছ থেকে দু’টি বিদেশী পিস্তল এবং আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়, যা বাংলাদেশের সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
তবে অপরাধের গুরুত্ব এবং দেশের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও নবী হোসাইন ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর জামিনে রহস্যজনকভাবে মুক্তি পান। তার এই মুক্তির পেছনের পরিস্থিতি অস্পষ্ট থেকে যায়, যা আইনিব্যবস্থায় সম্ভাব্য ফাঁকফোকর বা অন্য কোনো বিষয় বিচারব্যাবস্থাকে প্রভাবিত করেছে কি না সে সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে।
মুক্তির পরপরই নবী হোসাইন ইয়াঙ্গুন-ভিত্তিক মাদক কারবারি এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডিলারদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে তার অপরাধ কার্যক্রম আবার শুরু করেন। নবী হোসাইনের গ্রেফতার এবং পরবর্তী মুক্তি হাই-প্রোফাইল অপরাধীদের মোকাবেলায় আমাদের সিস্টেমের দুর্বলতাগুলোকে স্পষ্ট করে, যা তাদেরকে আবার সংগঠিত হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য স্থায়ী হুমকি সৃষ্টি করে।
নবী হোসাইনের অপরাধ জগতের পুনরুত্থান বাংলাদেশের সংগঠিত অপরাধ দমন এবং এবং সীমান্তের নিরাপত্তাকে চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে। আরাকান আর্মির সহযোগিতা, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সুযোগ গ্রহণ এবং গ্রেফতারের পর তার নেটওয়ার্ক পুনর্গঠনের ক্ষমতা প্রমাণ করে, নবী হোসাইন একটি সংগঠিত এবং গভীর অপরাধ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই চক্রের কার্যক্রম জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি।
তার ইয়াবা পাচার থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা যুবকদের মাদক পরিবহনে ব্যবহার করা- এসব কার্যক্রম বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সঙ্কটকে আরো গভীর করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা শক্তিশালী করা, দুর্নীতি দমন এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা এখন সময়ের দাবি। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে সমন্বয় করতে হবে। তবে যদি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিরাপত্তা বিভাগ নবী হোসাইন এবং তার অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। সীমান্ত এলাকায় অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে, মাদক সন্ত্রাস আরও ছড়াবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। একক কোনো উদ্যোগ নয়, বরং সমন্বিত এবং দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপই পারে নবী হোসাইনের চক্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়রের ওপর হামলা ‘বিচারের পরেই আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে’ রাজশাহীতে তেলের ডিপোতে আগুন, পুড়ল ৪০০ ব্যারেল তেল বাংলাদেশে আবারো রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা কতটা ‘প্রিয় মালতী' মুক্তির পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন মেহজাবীন চৌধুরী রংপুরে তথ্যমেলায় শেখ হাসিনার বাণী সংবলিত লিফলেট প্রচার, তীব্র প্রতিবাদ বান্দরবানে বড়দিন উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনীর নানা সহায়তা তুরস্কে হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : পাইলটসহ নিহত ৪ দেশীয় ব্যাংকগুলোর সমন্বিত নিরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ বিধান জারি সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে আসলে জবি রাজি, ব্যত্যয় হলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মিরসরাইয়ের আমজাদ নিহত

সকল