২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ীর সম্পত্তি লিখে নেয়ার চেষ্টা

-


আওয়ামী সরকারের সময় হত্যা মামলার আসামি হয়েও এক ব্যবসায়ীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও সম্পত্তি লিখে দেয়ার অপচেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী প্রতিকার চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
অভিযোগকারী কবির আহমেদ খান একজন সিআইপি। তিনি জানান, তার বড় ভাই মরহুম হাসান আহমেদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে এবং ওই মামলায় তিনি বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। মামলা আদালতে চলা অবস্থায় গত ১০ জুলাই কবির আহমেদ ও তার ম্যানেজার বিদ্যুৎ ঘোষকে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। ডিবি কর্মকর্তা তাকে কয়েকবার টেলিফোন করেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে কবির আহমেদের মোবাইল ফোন সাইলেন্ট থাকায় তিনি কল রিসিভ করতে পারেননি। পুলিশের দেয়া সময় অনুযায়ী বিদ্যুৎ ঘোষ ডিবি কার্যালয়ে যান। সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা কবির আহমেদের অবস্থান জানতে চান। বিদ্যুৎ ঘোষ ও ডিবির একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে চারজনের একটি দল কবির আহমেদের ধানমণ্ডির বাসায় যান। সেখান থেকে কবির আহমেদকে তুলে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। সেখানে পৌঁছার পর তাদের নেয়া হয় তৎকালীন ডিবির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়ের কক্ষে।

অভিযোগে কবির আহমেদ উল্লেখ করেন, ডিবির তৎকালীন যুগ্মকমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়ের কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন তার বড় ভাই হাসান আহমেদের স্ত্রী ও ভাইয়ের হত্যা মামলার প্রধান আসামি জান্নাতুল ফেরদৌস, তার ভাই ও জনৈক মেহেদী হাসান বাবুসহ কয়েকজন উপস্থিত। সঞ্জিত কুমার রায় ক্ষুব্ধ স্বরে কবির আহমেদকে বলেন, আপনাদের নামে অভিযোগ আছে সেজন্য তলব করা হয়েছে। জান্নাতুল ফেরদৌস ডিবি কর্মকর্তাকে বলেন, আমরা তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছি। এ সময় সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, আপনারা তার প্রাপ্ত সম্পত্তি দিচ্ছেন না কেন?
কবির আহমেদ জবাবে বলেন, সম্পত্তি দেয়ার আমার কোনো অধিকার নাই। সে আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী, উত্তরাধিকার আইন ও মুসলিম শরিয়াহ আইন অনুযায়ী তিনি যা পাওয়ার তাই পাবেন। একপর্যায়ে উক্ত মেহেদী হাসান বাবু ও জান্নাতুল ফেরদৌস ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তারা আমাকে ও আমার ম্যানেজারকে মারধর করতে উদ্যোত হন। একপর্যায়ে সঞ্জিত কুমার রায় তাদের সম্পত্তি হস্তান্তর ও আমাদের বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করতে বলেন। যুগ্ম কমিশনার বলেন, দ্রুত তাদের সম্পত্তি দিয়ে দিবেন। একই সাথে তিনি ডিবির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনারকে আমাদের ওপর নজরদারি করার নির্দেশ দেন।

কবির অভিযোগে বলেন, তারা বিগত সরকারের সময়ে নানামুখী নির্যাতনের শিকার। জান্নাতুল ফেরদৌস হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আসামি ডিবি কার্যালয়ে বসে সম্পত্তি বিষয়ে জোরজবরদস্তি করার বিষয়টি বোধগম্য নয়। তিনি আইন অনুযায়ী যতটুকু পাওয়ার সেটা পাবেন। কিন্তু বিচারাধীন হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে নিতে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় সঞ্জিত কুমার রায়কে ওএসডি করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কবির আহমেদ বলেন, ৫ আগস্টের পরও তাদের অপচেষ্টা থেমে নেই। আমি আমার ভাই মুসা আহমেদ ও আমাদের কোম্পানির ম্যানেজার বিদ্যুৎ ঘোষকে সাজানো মামলায় ফাঁসানোসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ঘটনাটি ৫ আগস্টের আগে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালকের বিদায়ী সাক্ষাৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার স্বামীসহ সাবেক এমপি হেনরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিলেটে ৫ হাজার কোটি টাকার দুই ‘মেগা’ প্রকল্প বাতিল পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ট্রেন যাবে খুলনায়, কাল উদ্বোধন দেশে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র এখনো চলছে : বিএনপি মহাসচিব চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাজেহাল করার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা শ্রম সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাবনা পেশ করেছে পোশাক শ্রমিক নেতারা স্বামীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

সকল