বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ঢাকায় সান্ধ্য আইন চলছে। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে ঢাকা থেকে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়নি। বিদেশী কূটনীতিকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য আগের দিন থেকে বিমানবন্দরে বিমান হামলা বন্ধ ছিল।
এ দিকে মার্কিন সপ্তম নৌবহর আগমনের খবরে পূর্ণ প্রস্তুতি নেয় ভারত। ভারতীয় নৌবাহিনী সপ্তম নৌবহরের তৎপরতা বিঘিœত করার জন্য চালনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ছোট-বড় সব জাহাজ, নৌযান, উপকূলীয় অবকাঠামো এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর অকেজো বা ধ্বংস করে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয়বারের মতো জাতিসঙ্ঘে যুদ্ধবিরতি এবং পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব উত্থাপন করে। এ দিন ভুট্টো জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে অত্যন্ত আবেগঘন বক্তৃতা দেন। কিন্তু পরদিন সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব পাস হয়নি। যুদ্ধ বন্ধের জন্য পাকিস্তান শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তুসময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছিল।
এ দিকে মিত্র বাহিনী ও মুক্তি বাহিনী কর্তৃক একের পর এক বিভিন্ন এলাকা দখল করায় চার দিকে মুক্তির সুবাতাস বইতে থাকে। পাকিস্তানি সৈন্যদের বিভিন্ন এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া এবং আত্মসমর্পণ শুরু করায় বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়তে থাকে চারদিকে। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে চট্টগ্রামে বিজয় মেলার উদ্বোধন
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের নবাগত বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন বলেছেন, আমাদের যেসব কৃষ্টি, কালচার, রয়েছে এগুলোর বহিঃপ্রকাশ মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়ে থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেখানে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের একটা প্রত্যয় রয়েছে। আমরা এই বাংলাদেশকে বৈষম্যমুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা এমন একটি স্থান বা ভেনু খুঁজে বের করব যেটাতে স্থায়ীভাবে বিজয় মেলাসহ বিভিন্ন মেলা উদযাপন করা যাবে।
গতকাল নগরীর কাজির দেউরী এলাকার সার্কিট হাউজ সংলগ্ন ভেঙে ফেলা পুরনো শিশু পার্ক মাঠে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে ছয় দিনব্যাপী (১১-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফারজানা নাজনীন সেতুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব আহমেদ নেওয়াজ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম ও ছাত্র প্রতিনিধি মো: জোবায়ের।
উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো: নোমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: শরীফ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: সাদি উর রহিম জাদিদ প্রমূখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা