আদানির সাথে চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৮
ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম জনস্বার্থে এ রিটটি করেছেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হতে পারে বলে রিটকারী আইনজীবী জানিয়েছেন।
রিটে আদানি গ্রুপের সাথে সম্পাদিত চুক্তিকে অসম, অন্যায্য ও দেশের স্বার্থপরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চুক্তির শর্তগুলো সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংশোধন করার কথা রিটে বলা হয়েছে। এতে আদানি গ্রুপ রাজি না হলে চুক্তিটি বাতিল করার জন্য রিটে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ বিষয়ে একটি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠান। নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছিল। তা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই আইনি নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।
নোটিশে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চাওয়া হয়। এতে জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তিন দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়। এতে আরো বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সাথে তাড়াহুড়া করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সাথে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি।
আদানি গোষ্ঠী ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে সরবরাহ করে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদানি গোষ্ঠীর সাথে এই চুক্তি হয়। শুরু থেকেই এই বিদ্যুতের দাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে।