ডিএনএ টেস্টে মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী প্রমাণিত
- এম জে এইচ জামিল সিলেট
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯
ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে ঢাকায় মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটিই সিলেটের সাবেক বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর। এর মাধ্যমে একসময়ের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হারিছ চৌধুরীর নিখোঁজ রহস্য উন্মেচিত হলো।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আদালতে সেই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেয়া হয়।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় হারিছ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে। এরপর হারিছ চৌধুরী নাম পাল্টে মাহমুদুর রহমান হয়ে যান তিনি। ২০২১ সালে তিনি মারা গেলে মাহমুদুর রহমান পরিচয়েই তাকে ঢাকায় দাফন করা হয়। কিন্তু তিনি যে হারিছ চৌধুরী সেটি প্রমাণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ৩ দিন আগেই আমরা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর লাশটি হারিছ চৌধুরীরই বলে জানা গেছে।
ডিএনএ রিপোর্টের ব্যাপারে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কামারুন মুনিরা গণমাধ্যমকে বলেন-বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই। আদালতই বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন।
হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাকে দাফন করা হয়। তখন আবার হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা