২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দেশে রক্তনালীর রোগী আছে ৩ লাখ সার্জন মাত্র ৬০ জন

-

হার্টে ব্লক ছাড়াও রক্তনালীতেও ব্লক হয়ে থাকে। হার্টের মতো হাত ও পায়ের রক্তনালী ব্লক বা বন্ধ হয়ে যায়। রক্তনালীতে রিং লাগানো বা স্টেন্টিং করানো হলে রোগীর পঙ্গুত্ব ঠেকানো যায়। স্টেন্টিং ছাড়াও প্রয়োজন হতে পারে পায়ের রক্তনালীর বাইপাস অপারেশন। অথবা দুর্ঘটনায় রক্তনালী ছিঁড়ে বা কেটে যেতে পারে। টিউমার হতে পারে রক্তনালীতে। এক্ষেত্রে অপারেশন করে রক্তনালী জোড়া না লাগালে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আঁকাবাঁকা রক্তনালী বা ভ্যারিকোস ভেইন খুবই পরিচিত একটা রোগ। এ রোগে অপারেশন না করালে কিংবা বেশি বিলম্ব করলে আলসার, রক্তপাতসহ নানা জটিলতা হতে পারে।
ভাস্কুলার সার্জন ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা: এ কে এম জিয়াউল হক বলেন, ‘সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে রক্তনালীর ব্লকের কারণে নির্দিষ্ট অঙ্গে রক্ত চলাচল করতে না পারলে ওই অংশটিতে পচন ধরে (গ্যাংগ্রিন)। রক্তনালীর রোগের কারণে মানুষের অঙ্গহানি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ভাস্কুলার সার্জনরা বলছেন, রক্তনালীতে ব্লক হলে ছয় ঘণ্টার মধ্যে ব্লক পরিষ্কার করতে না পারলে ব্লকের নিচের অংশে পচন ধরে। বাংলাদেশে রক্তনালীর ব্লকের রোগী আছে প্রায় তিন লাখ কিন্তু এর চিকিৎসা করার জন্য বর্তমানে সার্জন রয়েছে মাত্র ৬০ জনের কাছাকাছি। ফলে বিপুল সংখ্যক রোগী বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পেয়ে থাকে।’

ভাস্কোলার সার্জারি বিষয়ের সার্জন দরকার এক হাজার, আছে ৫০ থেকে ৬০ জন। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে তিনজন করে সার্জন পাস করে বের হতে পারছেন। ভাস্কোলার সার্জনরা বলছেন, এভাবে কয়েক বছরেও ভাস্কোলার সার্জনের অভাব পূরণ করা যাবে না, এ জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাঁচ বছরের এমএস কোর্স ছাড়াও স্বল্পমেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সের ব্যবস্থা করে দ্রুত সার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে মানুষের কল্যাণে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, দিনে কমপক্ষে ৩০টি স্টেন্টিং করানোর ক্যাথল্যাব এবং প্রয়োজনীয় সার্জন রয়েছে।

ভাস্কোলার সার্জনরা বলছেন, অন্যান্য চিকিৎসার মতো রক্তনালী সংক্রান্ত চিকিৎসাতেও বেশ উন্নত প্রযুক্তি এসেছে। রক্তনালীর ব্লকের কারণে এখন আর কাটাছেঁড়া করতে হয় না। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের ব্লক সারিয়ে তোলার চিকিৎসাও বাংলাদেশে এসেছে। শাহবাগের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কোলার সার্জারি বিভাগে এ চিকিৎসাটি হচ্ছে। যে রোগীদের অপারেশন সম্ভব নয়, বর্তমানে চিকিৎসার মাধ্যমে অপারেশন ছাড়াই তাদের অঙ্গ রক্ষা করা সম্ভব। কিভাবে সম্ভব এ প্রশ্নের উত্তরে ভাস্কোলার সার্জনরা বলছেন, ‘স্টেমসেল থেরাপি ও প্রোস্টাগ্লান্ডিন থেরাপির মাধ্যমে নতুন রক্তনালী তৈরি করে বিনা অপারেশনে চিকিৎসা করে রোগীদের পঙ্গুত্ব ঠেকানো যাচ্ছে। ভ্যারিকোস ভেইন আঁকাবাঁকা শিরার চিকিৎসায় লেজার থেকে শুরু করে সব ধরনের আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে।
রক্তনালী ব্লক, এনিউরিজম, ডিভিটি, টিউমার, মেলফরমেশন ইত্যাদি চিকিৎসাসেবা আছে এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের আধুনিক ডুপ্লেক্স স্ক্যান ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০ জন রোগীর পরীক্ষা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভাস্কুলার সার্জারির বয়স ৫০ বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহত অনেকে এ সার্জারির মাধ্যমে সুস্থ হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান টিআইবির সংস্কৃতি ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার বৈপ্লবিক উপাদান : রাহাত ফতেহ আলী খান অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পি কে হালদার ৪৪তম বিসিএস-এর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ স্ত্রীসহ বিজিবির সাবেক ডিজি মইনুলকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য যা ভালো তাই করবে বাংলাদেশ : মুখপাত্র প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের নতুন ডিজি আবু সুফিয়ান রেমিট্যান্সের ডলার সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা দরে কেনার নির্দেশ পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ছাত্রশিবির আয়োজিত সায়েন্স ফেস্ট ২০২৪ এর রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ আগামীকাল

সকল