জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : তারেক রহমান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৪
দেশে জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ আর হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ’২৪ সালের দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধের সব ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রকামী জনগণ বিজয়ী হয়েছে। সুতরাং হাজার হাজার আহত মানুষের আর্তচিৎকার, লাখো শহীদের রক্তস্নাত জমিনে আমাদের মধ্যে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, যেকোনো মূল্যে আমাদের সেই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা গেলে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র করে আর কেউ আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে সক্ষম হবে না। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমাদের একটিই বার্তা-বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী কিংবা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এই বাংলাদেশ আপনার-আমার আমাদের সবার। তথাকথিত সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু নয়, এই জাতি রাষ্ট্রের আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা সবাই বাংলাদেশী।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনার যতটুকু অধিকার আমরাও ঠিক ততটুকুই অধিকার। আমাদের সবার কাছে সবার আগে বাংলাদেশের স্বার্থই হবে সবচেয়ে বড়। রাষ্ট্র-রাজনীতি, শাসন-প্রশাসন পরিচালনায় আমরা গুরুত্ব দেবো মেরিটোক্রেসিকে। এ দেশের সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে, এটাই বিএনপির রাজনীতি। সবাইকে নিজেদের অধিকার আদায় এবং দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
‘গুজবে কান দেবেন না : ১৫ বছরে মাফিয়া সরকারের শাসনামলে হিন্দুসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর অন্যায়-অত্যাচারের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ধর্মীয় রীতিনীতি নিশ্চিন্তে নিরাপদে উদযাপন করতে পারেন তেমন একটা রাষ্ট্র এবং সমাজ বিনির্মাণের জন্যই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। সবার উদ্দেশ্যে আমাদের বার্তা একটিই- ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। তিনি বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দোসরদের কোনো উসকানিতে দয়া করে পা দেবেন না, কোনো গুজব, গুঞ্জনে দয়া করে কান দেবেন না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, আফরোজা খানম রীতা, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, অপর্না রায় দাস, সুশীল বড়ুয়া, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, তরুণ দে,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।পরে অতিথিদের আপ্যায়ন করানো হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা