২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দল বন্ধে সারজিস-হাসনাতের রিট

-


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে ১১টি দলকে ভবিষ্যতে সবধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়ে রিটে রুল চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়াও অপর যে ১০টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো : জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, লিবারের ডেমক্র্যাটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোস্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ তিনজন আবেদনকারী রিটটি করেছেন। অপর দু’জন হলেন- মো: আবুল হাসনাত ও মো: হাসিবুল ইসলাম।
এ ছাড়া এই তিন রিটকারীর করা অপর একটি রিটে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিট করা হয়েছে। সেখানে তিন নির্বাচনের গেজেট বাতিল চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই সব নির্বাচনে এমপিদের সব সুযোগ-সুবিধা বাতিল করে তা প্রত্যাহারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সাথে ওই সব নির্বাচনের এমপিদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
এ দিকে এই দু’টি রিট করার কথা জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। সারজিস আলমের ফেসবুক পেজে পোস্টে বলা হয়েছে, ‘দু’টি রিট করেছি। ১. আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট। ২. এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সব একটিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট। দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই।

বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকালের কার্যতালিকায় রিট দু’টি ২৮৩ ও ২৮৪ নম্বর ক্রমিকে ছিল। হাইকোর্টের এই বেঞ্চ রিট দু’টির কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। এ মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বলেছেন, রিট দু’টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অবশ্য আজ হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
১১টি দলের সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সবধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।

এ দিকে রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। তিনি বলেন, দলগুলো রাজনৈতিক কার্যক্রম যাতে পরিচালনা করতে না পারে সে জন্য এ রিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করেছি। তবে ওই আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেনি। আজ আমরা অন্য একটি আদালতে রিট আবেদন উপস্থাপন করব। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে বলেও তিনি জানান।
১১টি দল নিয়ে করা রিটের (রিট নম্বর ১২৫৯৯/২৪) আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বিচার মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। ১১টি দলের সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সবধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে রুল ও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গত ৩টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অপর রিট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমসহ তিনজনের করা অপর রিটের (রিট নম্বর ১২৫৯৮/২৪) প্রার্থনায় দেখা যায়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

এ রিটে আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোস্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশকে বিবাদি করা হয়েছে।
রিটের আবেদনে বলা হয়েছে, ওই দলগুলো থেকে মনোনয়ন নিয়ে যেসব ব্যক্তি দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সূত্রে তাদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। ওই তিনটি নির্বাচনে দলগুলোর মনোনয়ন নিয়ে তথাকথিত সংসদ সদস্যদের প্লট বরাদ্দ বাতিল করতে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ির কর ও শুল্ক আদায় করতে এবং পারিশ্রমিক-ভাতাদি ফিরিয়ে নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পাচারের অর্থ ফেরাতে কাজ শুরু নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সৌদি সরকার আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দল বন্ধে সারজিস-হাসনাতের রিট হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী শতাধিক অপরাধের অভিযোগ সার্কের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো ইরান সব অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলি হামলার জবাব দেবে ২৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের নিকৃষ্টতম দিন : ডা: শফিক সমালোচনার মধ্যেই চট্টগ্রামে আজ শুরু দ্বিতীয় টেস্ট রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভিডিপিতে অস্থিরতা তৈরির পাঁয়তারা চলছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম আমের বীজ সাদ্দাম-ইনানসহ ছাত্রলীগের ২২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সকল