ইলেকশন কমিশন গঠনে দ্রুতই সার্চ কমিটি হবে : মাহফুজ
আ’লীগের নেতাদের পালানোর তদন্ত হচ্ছে : প্রেস সেক্রেটারি- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৬
ইলেকশন কমিশন গঠনের জন্য দ্রুতই সার্চ কমিটি গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তিনি জানান, বিদ্যমান আইন অনুযায়ীই এটি গঠিত হবে। বিধি অনুযায়ী সার্চ কমিটিতে ছয়জন সদস্য থাকবেন। বিধিমালা অনুযায়ী যা যা করার দরকার, করা হবে। এ সময় তিনি এ-ও বলেন, গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপের বিষয়বস্তু তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, স্যার (ড. ইউনূস) স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ইলেকশন কমিশন গঠনের জন্য দ্রুতই সার্চ কমিটি গঠিত হবে। ইলেকশন কমিশন পুনর্গঠনের পর কবে, কিভাবে ইলেকশন হবে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রসিডিউর নিয়ে আলোচনা হবে। সমান্তরালে কমিশনগুলোও কাজ করে যাবে।
বিশেষ সহকারী বলেন, আজ সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা এসেছে আবারো। আওয়ামী লীগ সরকারের শরিক দলগুলো নিষিদ্ধের দাবিও এসেছে। এ ছাড়া তিনটি পার্লামেন্ট হয়েছে অবৈধভাবে। ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে। এ তিনটি পার্লামেন্ট কিভাবে অবৈধ ঘোষণা করা যায়- এ বিষয়ে তারা (রাজনৈতিক দলগুলো) অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এবং গণপরিষদের বিষয়েও একটি দল কথা বলেছে। এই ছিল তাদের সাথে স্যারের (ড. ইউনূস) তাদের অভিমত বিনিময়। স্যার সরকারের সরকারের জায়গায় থেকে তাদের আশ্বস্ত করেছেন। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গার্মেন্ট পরিস্থিতি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সংস্কার সমান্তরালে চলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, সার্চ কমিটি ঠিক করবে যে, ইলেকশন কমিশনার কারা হবেন। গত তিনটি নির্বাচনে তরুণরা ভোট দিতে পারেননি। বিপুলসংখ্যক তরুণদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাসহ অনেকগুলো প্রসিডিউর রয়েছে। এরপর দেখবেন যে, রোডম্যাপ অনুযায়ী চলছে। এটা অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ করেই হবে। সার্চ কমিটি ও ইলেকশন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক চাপ বা কোনো আতাত হবে না। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অবস্থান বজায় থাকবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, যারা তিনটি ইলেকশনে অংশ নিয়েছে, বিশেষ করে যারা ন্যাশনাল পার্লামেন্টে এসেছেন অবৈধভাবে- এদের বিরুদ্ধে তো অনেক আগে থেকেই অবস্থান আছে যে, তারা অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিকভাবে তাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই বাধা তৈরি করবে। এ বাধাটা কিভাবে বাস্তবায়িত হবে সেটি আপনারা দেখতে পাবেন। এটির আইনি দিক আছে, প্রশাসনিক দিক আছে, আপনারা অচিরেই দেখতে পাবেন। আর যখন নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে তখন এগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ও ১৪ দল নিষিদ্দ বা শরিক অনেকগুলো দল আছে যেমন জাতীয় পার্টিকে ডাকছি না এখন। তারা (জাপা) কিন্তু নীরব সমর্থন দিয়ে গেছে এবং অবৈধ নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের বিষয়ে সরকার পর্যালোচনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আরো আলোচনা-পর্যালোচনার ভিত্তিতে ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) হবে, সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না। সবগুলো রাজনৈতিক দল ও স্টেক হোল্ডারদের সাথে কথা বলে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু তারা (জাতীয় পার্টি) যে, ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল এবং গণহত্যার প্রতি সম্মতি এবং মাঠে অবস্থান ব্যক্ত করেছে, সরাসরি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এটি সম্পর্কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে বলে দিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকেও একই ধরনের অভিমত ব্যক্ত হয়েছে।
আ’লীগের শীর্ষ নেতারা কিভাবে পালালেন তদন্ত হচ্ছে :
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কিভাবে পালালেন তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, কিভাবে এরা পালাল আমরা ইনভেস্টিগেট করছি। এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সেক্রেটারি এ কথা জানান।
সরকার পতনের পরে দেখলাম আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গেল? তারা কিভাবে গেল কেন গেল? এই প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সরকারের বিষয় ক্লিয়ার। আমরা একটা বিষয় দেখছি কেন এটি হলো? কিভাবে তারা পালাতে পারলেন। একটা বিষয় কিন্তু স্পষ্ট সেটা হচ্ছে যে, ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কিন্তু কোনো গভর্নমেন্ট ছিল না। আর আপনারা জানেন যে, অনেক পুলিশ স্টাইকে ছিল। ফলে হয়েছে যে আমরা শুনছি এই লোকটা পালাচ্ছে ধরতে হবে কিন্তু হয়নি, এই জায়গায় একটা গ্যাপ ছিল। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল এদেরকে অ্যারেস্ট করার। আমরা এখনো চেষ্টা করছি যারা বাংলাদেশে আছে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের গ্রেফতার করার। কিভাবে এরা (আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা) পালাল আমরা ইনভেস্টিগেট করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা