২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বিয়ে বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান!

বিয়ে বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান! -

মার্কিনি মেয়ে মেগান মার্কলকে বিয়ে করে নন্দিত ও নিন্দিত উভয়ের খপ্পরে পড়েন ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি। প্রেমের জন্য এই দম্পতি ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ শুধু নয় দেশ ছেড়ে মার্কিন মুল্লুকে পাড়ি জমান। ব্রিটিশ ডাইন্যাস্টি হোক আর রাজপরিবারের কঠোর নিয়ম কানুন হোক তা ত্যাগ করে সাধারণের জীবন বেছে নেয়ার জন্য হ্যারিকে কম যাতনা সইতে হয়নি। ব্রিটিশ পত্রপত্রিকা ও রাজপরিবারও ছিল হ্যারির সমালোচনায় মুখর। বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে বনিবনা না হওয়ায় কথা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাদের। দু’টি সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু এত কিছুর পর শেষ রক্ষা হচ্ছে না এ দম্পতির।
পদাধিকার হিসেবে প্রিন্স হ্যারি সাসেক্সের ডিউক এবং মেগান মার্কল হলেন ডাচেস অব সাসেক্স। নিজের ৪০তম জন্মদিনের রাতটা স্ত্রীর সাথে কাটানোর বদলে বন্ধুদের সাথে হাইকিংয়ে যান প্রিন্স হ্যারি। তবে কি মেগান মার্কলের সাথে বিচ্ছেদের পথে তিনি? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ব্রিটিশ মিডিয়া আর ট্যাবলয়েটগুলো জুড়ে। গুঞ্জনের মধ্যেই তাদের পাবলিক রিলেশন প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, পেশাগত দিক থেকে আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। তবে তাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে না। সাময়িকভাবে একসাথে দেখা যাবে না তাদের। জনসমক্ষে খুব বেশি একসাথে ধরা দেবেন না এই দম্পতি।
বিনোদন মিডিয়া রাডারঅনলাইন বলছে, ডিউক অব সাসেক্স সম্প্রতি আফ্রিকার লেসোথোতে তার ৪০তম জন্মদিন পালন করেন বন্ধুবান্ধবদের সাথে। যেখানে তার পরিবার উপস্থিত ছিল না। হ্যারির এই কাজই প্রমাণ করে তার সাথে মার্কলের সম্পর্কে চিড় ধরে গিয়েছে। রাজদম্পতি এতকাল বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যুগলেই যেতেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তাদের একসাথে আর জনতার মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।

স্টার ম্যাগাজিন লিখেছে, হ্যারি আফ্রিকা ছাড়াও নিউ ইয়র্কেও একলা গিয়েছিলেন। যেখানে তাকে বেশ হাসিখুশি এবং খোলামেলা লেগেছিল। পত্রিকাটি বলছে, হ্যারি সাধারণ অতিথিদের সাথে অত্যন্ত প্রাণখোলা ব্যবহার করেছেন। সেই পত্রিকারও মতে, হ্যারি এবং মেগান পরীক্ষামূলকভাবে সেপারেশনের পথে চলেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের সম্পর্ক আর টিকছে না। ৪৩ বছর বয়সী মেগান মার্কলের অতি নিয়ন্ত্রণবাদী মনোভাবের সাথে এঁটে উঠতে পারছেন না যুবরাজ।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়াতে প্রিন্স আর্চি এবং প্রিন্সেস লিলিবেটের সাথেই রয়েছেন মেগান মার্কল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাকি স্বামীর সাথে নিউ ইয়র্কে যেতে পারেননি মেগান। শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি আসন্ন নেটফ্লিক্সের শো এবং ব্র্যান্ডের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। যদিও হ্যারি ও মেগানের বন্ধুরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন এখনো আদর্শ এবং সুখী দম্পতি হিসেবেই রয়েছেন দু’জনে। এক ছাদের নিচে অধিকাংশ সময় না কাটালেও পেশাগত দিক থেকে ভিন্ন রাস্তা বেছে নিয়েছেন তারা। হলিউডে হাত পাকাচ্ছেন মেগান। বিয়ের আগেও সিনেমার সাথে জড়িত ছিলেন মেগান। সাথে চলছে তার ব্যবসায়িক প্রজেক্টও। হ্যারি এ দিকে ব্যস্ত পারিবারিক কাজকর্ম নিয়েই। যদিও এই গুজবের মধ্যে রাজপুত্র ও যুবরানি সম্প্রতি পর্তুগালে একটি খামারবাড়ি কিনেছেন। পর্তুগালে এই সম্পত্তি কেনার ফলে হ্যারি ও মেগান ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোল্ডেন ভিসাও পেয়েছেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ ১৪ দল জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি পুলিশের মূর্তিমান আতঙ্ক ধনঞ্জয়ের খোঁজ মিলছে না বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার বাইরে এখনো ৪৫০ কোটি মানুষ ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের মিছিলে পিটুনি যুদ্ধ বন্ধ ও সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো বন্দিমুক্তি নয় : হামাস ২৯৭ কোটি টাকার কাজ পাচ্ছে গত সরকারের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান! তহবিল ব্যবস্থাপনায় কাহিল পুনর্গঠিত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিএসএমএমইউতে কম টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ শিগগিরই শুরুর আশ্বাস হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার ৩ দিনের রিমান্ডে জান্তা পতনে মিয়ানমারে মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এক সাথে লড়ছে ইলেকশন কমিশন গঠনে দ্রুতই সার্চ কমিটি হবে : মাহফুজ

সকল