ঢাকা থেকে দিল্লি তৎপর ভয়ঙ্কর কিডনি সিন্ডিকেট
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১১
সার্জন থেকে শুরু করে দালাল পর্যন্ত বিস্তৃতি এক ভয়ঙ্কর কিডনি সিন্ডিকেট। অ্যাপোলোর মতো নামীদামি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালও এ চক্রের সাথে জড়িত। ভুয়া নিকটাত্মীয়দের ব্যবহার করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কিডনি। দরিদ্র বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ৪-৫ লাখ টাকায় কিডনি সংগ্রহ করে তা বিত্তবান ভারতীয়দের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ২০-২৫ লাখ রুপিতে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে ভুয়া পরিবার, ভুয়া নথি, ভুয়া ডায়াগনস্টিক ল্যাব যা শুধুমাত্র কাগজে কলমে বিদ্যমান সাথে বানোয়াট সিল। একটি প্লাস্টিকের বাক্স তাতে আবার লাল ‘অফিসিয়াল’ স্টিকার-এভাবেই আদ্যোপান্ত একটি ১০ সদস্যের জাল সিন্ডিকেট দিল্লির সার্জনের চারপাশে ঘোরাফেরা করে। এগুলো হলো একটি আন্তর্জাতিক কিডনি প্রতিস্থাপন রথ্যাকেটের নেপথ্য কারিগর। অভিযুক্তদের সাথে ভারতের রাজধানী দিল্লির দু’টি সুপরিচিত হাসপাতালের সংযোগ ছিল, তারা সিস্টেমের ত্রুটিগুলোকে কাজে লাগিয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অনুমোদনের ফরম এবং প্রচুর কল রেকর্ড। যার ভিত্তিতে ৫০ বছর বয়সী একজন সার্জনসহ ১০ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সার্জন অ্যাপোলো হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগীদের জন্য প্রায় ২০-২৫টি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নয়ডার ইয়াথার্থ হাসপাতালগুলোও গত তিন বছর ধরে তদন্তাধীন। পুলিশ ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই দু’টি হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগীদের ওপর পরিচালিত ১২৫-১৩০টিরও বেশি ট্রান্সপ্লান্টের বিশদ বিবরণ চেয়েছে। কেস রেকর্ডের বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেগুলো সবকটি অভিযুক্ত সার্জন, ডা: বিজয়া রাজাকুমারীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১ জুলাই। তিনি এখন জামিনে আছেন এবং আদালতে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ভারতের স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত একজন অনুবাদকসহ দুই বাংলাদেশীও রয়েছে। এই বছরের এপ্রিলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি সতর্কবার্তায় বিদেশীদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাথে জড়িত ‘বাণিজ্যিক লেনদেন’ বৃদ্ধির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। তদন্ত শুরু হওয়ার পরে দিল্লি পুলিশ এই চক্রটির হদিস পায়। ১৭ জুন দায়ের করা একটি মামলা এবং এক মাস পরে চার্জশিট দাখিলের পর দিল্লি হাইকোর্ট ২৩ আগস্ট ডা: রাজাকুমারীকে জামিন দেয়। পুলিশের মতে, রাজাকুমারী প্রাথমিকভাবে দিল্লিতে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলোর সাথে যুক্ত ছিলেন। নয়ডার অ্যাপোলো হাসপাতাল এবং ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হায়দরাবাদ-ভিত্তিক অ্যাপোলো গ্রুপ অব হাসপাতালের অংশ। অন্য আসামিরাও এখন জামিনে রয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর দিল্লির একটি আদালত প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ ভারতীয় সংবিধানের ধারায় এবং মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন ১৯৯৪-এর অধীনে দাখিল করা চার্জশিটটি বিবেচনা করে।
নিয়ম ও নিয়মের ফাঁক : ভারতে অঙ্গ দান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়দের মধ্যে। যেমন, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি এবং স্ত্রীকে কিডনি দান করার অনুমতি দেয়া হয়। অন্যান্য আত্মীয়রা বিশেষ পরিস্থিতিতে কিডনি দান করতে পারে সরকার-নিযুক্ত কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে। বিদেশী নাগরিকদের অবশ্যই একটি ‘ফরম ২১’ জমা দিতে হবে, যার জন্য মূলত সংশ্লিষ্ট দূতাবাস থেকে একটি অনাপত্তি সনদপত্র প্রয়োজন। যেখানে বলা থাকবে এই অঙ্গদান ওই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় করছেন, অর্থের বিনিময়ে বা বলপূর্বক নয়। রেকর্ড মোতাবেক এই ‘ফরম ২১’ দিল্লি-ঢাকা র্যাকেটের মূলে রয়েছে। পুলিশের মতে, প্রতিটি অস্ত্রোপচারের জন্য এই ফরমটি সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটটি জাল পরিবার এবং নথি ব্যবহার করে দাতা এবং প্রাপকদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করছে। এই পদ্ধতিতে ফরম ২১-এর অপব্যবহার ভারতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেস রেকর্ডের বিশ্লেষণ বলছে, নয়ডার অ্যাপোলো হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগীদের নিয়ে ডা: রাজাকুমারী ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ এর মধ্যে মোট ৬৬টি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি পরিচালনা করেছেন। এই একই সার্জন বিদেশীদের ওপর ৭৮টি অপারেশন পরিচালনা করেছেন ২০২২ এর ৭ আগস্ট থেকে ২০২৪ এর ১৩ মে -এর মধ্যে। নয়ডার ইয়াথার্থ হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচারগুলো করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬১ জন বাংলাদেশী রোগী রয়েছেন।
অ্যাপোলো, নয়ডা: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ১ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ৩১ মে ২০২৪-এর মধ্যে বাংলাদেশী রোগীদের জন্য ৯০টি ফরম-২১ যাচাইকরণ পর্যালোচনা করেছে। যাতে শুধুমাত্র একটির ক্ষেত্রে একজন নিকটাত্মীয়র অস্তিত্ব মিলেছে। বাকি ১৫টির ক্ষেত্রে যে নিকটাত্মীয়র উল্লেখ রয়েছে তা ভুয়া। বেশির ভাগই দাতাকে দূরের আত্মীয় হিসেবে চিত্রিত করে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে দাতা ছিলেন প্রাপকের বোনের ছেলে, প্রাপকের স্ত্রীর ভাই (১২ শতাংশ), মায়ের বোনের ছেলে (৯ শতাংশ), স্বামীর বোনের ছেলে (৬ শতাংশ) , কখনোবা বাবার বোনের ছেলে (৫ শতাংশ )।
ইয়াথার্থ, নয়ডা: স্ক্যানারের অধীনে ৬১টি অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে একজনও প্রাপকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, স্ত্রী, ভাই-বোন নয়। রেকর্ডে কমপক্ষে ১৪টি ভুয়া পারিবারিক সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। যেমন প্রাপকের বোনের ছেলে (৩১ শতাংশ), প্রাপকের স্বামীর বোনের ছেলে (১৮ শতাংশ), প্রাপকের স্ত্রীর বোনের ছেলে (১৫ শতাংশ), প্রাপকের মায়ের বোনের ছেলে (১৫ শতাংশ) এবং প্রাপকের স্ত্রীর ভাই (৫ শতাংশ)।
পুলিশের মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, প্রাপকের নিকটাত্মীয়দের ভুলভাবে জাল নথি সংগ্রহ করা হয় যাতে বানোয়াট পারিবারিক সম্পর্ক তুলে ধরে জাল দাতা তৈরি করা যায়। বাংলাদেশের দরিদ্র ব্যক্তিদের ৪-৫ লাখ টাকায় (ভারতীয় মুদ্রায়) কিডনি দান করার জন্য প্রলুব্ধ করা হয়। এবং প্রাপকদের থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) নেয়া হয়। নয়ডায় এই হার অনেক বেশি। গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশীরা পুলিশকে বলেছে যে, তারা দাতাদের জন্য অর্থ প্রদানসহ প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য প্রায় ৮ লাখ টাকা আয় করত। কথিত জাল নথিগুলো যেগুলো ফরম-২১ এর কপিগুলো সুরক্ষিত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল, তার স্ক্রিনিং কিভাবে হয়েছিল সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ হাইকমিশন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে কথা বলতে চায়নি। রেকর্ডগুলো দেখায় যে, পুলিশ তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাইকমিশনের ভেরিফিকেশন রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
কিভাবে তারা এটা করেছে : পুলিশের মতে, রেকর্ডে চিহ্নিত মেডিক্যাল অনুবাদক রাসেল এবং তার সহকর্মী রোকন ল্যাপটপে টেমপ্লেট সংরক্ষণ করার পরে নথিতে হেরফের করেছিলেন। তাদের কাছ থেকে একাধিক জিনিস জব্দ করেছে পুলিশ। যেমন, রোকনের বাড়িতে অফিসিয়াল স্টিকারসহ ‘ওয়েসিস আরাবিয়া প্রিমিয়াম ডেটস’ লেবেলযুক্ত একটি প্লাস্টিকের বাক্স মিলেছে। সেইসাথে বিভিন্ন কর্মকর্তার ২০টি সিলমোহর, ডিজিটাল স্বাক্ষর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং রাজু ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরি থেকে মেডিক্যাল রিপোর্টসহ ৯৯১টি ওয়ার্ড ফাইল সংবলিত একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। রাজু ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরির আদতে কোনো অস্তিত্ব নেই। পুলিশ জানায়, এসবই কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় ভুয়া পারিবারিক সম্পর্ক দেখানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো। রাসেলও জিজ্ঞাসাবাদের সময় দাবি করেছেন যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা রোগীর ফাইলগুলো ত্বরান্বিত করার জন্য প্রতি ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) চার্জ করেছিলেন।
একটি নমুনা যা বড় সত্য উদ্ঘাটন করেছে : তদন্তের সময় পুলিশ দিল্লির জাসোলায় রোকনের ভাড়া করা বাসা থেকে ঢাকার একজন ৪৪ বছর বয়সী ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছে যা রোগীর ৩৫ বছর বয়সী ভাইয়ের মাধ্যমে ইয়াথার্থে পরিচালিত হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই ভাইকে আইনি দাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এই নথিগুলোর মধ্যে একটি ফলম-২১ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেখানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিবের (কনস্যুলার) স্বাক্ষর এবং সিলমোহরসহ দাতা এবং প্রাপকের ফটোতে ‘অফিসিয়াল’ সিল রয়েছে। পুলিশ জানায়, হাইকমিশনের দু’টি জাল সিলও পাওয়া গেছে। রেকর্ডগুলোতে ফরম-২১-এর সাথে সংযুক্ত বেশ কিছু নথিও মিলেছে যেখানে একজন অ্যাডভোকেট, পুলিশ স্টেশন এবং দায়িত্বে থাকা অফিসারের কথিত সিল সংবলিত বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট রয়েছে, রয়েছে সিনিয়র সহকারী সচিব (কনস্যুলার); সিনিয়র সহকারী সচিব (আইন ও বিচার বিভাগ); ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার উইং এবং দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নথি। পুলিশ অভিযোগ করেছে আসামিদের কাছ থেকে ভুয়া সিল মিলেছে। যার মধ্যে রয়েছে- দাতা, প্রাপক এবং অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুদিত কপি, বাংলায় বিয়ের সার্টিফিকেট এবং তাদের ইংরেজি অনুবাদ, মৃত আত্মীয়দের মৃত্যু সনদপত্র। সিলগুলো দাতার হলফনামা, আত্মীয়দের কাছ থেকে একটি অনাপত্তি সনদ এবং একটি ভুয়া পারিবারিক নথি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের একটি পাবলিক নোটারি দ্বারা স্ট্যাম্প করা হয়েছিল।
৪৪ বছর বয়সী রোগীর ‘ভুয়া পারিবারিক সম্পর্ক’ মোতাবেক তার বাবা ২০১৯ সালে ক্যান্সারে মারা গেছেন। কাল্পনিক রাজু ল্যাবের রিপোর্টে রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রার কারণে তার মাকে দাতা হিসেবে অনুপযুক্ত হিসেবে দাবি করা হয়েছে। ল্যাবের অন্যান্য সনদপত্রগুলো রক্তের ধরন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনা করে প্রাপকের স্ত্রী, তার বাবা এবং তার দুই ভাইকে বাতিল করেছে। একমাত্র স্ত্রীর বড় ভাইকে দাতা উপযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ল্যাব রিপোর্টে। পুলিশের সন্দেহ তিনি একজন ভুয়া আত্মীয়। রাসেল পুলিশকে বলেছে যে দু’টি হাসপাতালে অপারেশন করা হয়েছিল তারা নথি যাচাইয়ের জন্য রাজু ল্যাবে ই-মেইল পাঠাত। রেকর্ডগুলো দেখায়, অভিযুক্তের এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস ছিল এবং তারা নিজেরাই নথিগুলো যাচাই করত।
ইয়াথার্থ হাসপাতালের দাবি : মামলাটি নয়ডায় ইয়াথার্থ হাসপাতাল এবং অ্যাপোলো হাসপাতালে পরিচালিত ২০-২৫ টি কিডনি প্রতিস্থাপনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ইয়াথার্থ হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক মামলার বিষয়ে, আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে পরিদর্শনকারী পরামর্শদাতাসহ সব ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর বহু-স্তরীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়েছে। আমরা আমাদের প্রক্রিয়াগুলোকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছি। এটি জোর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ যে ইয়াথার্থ হাসপাতাল সর্বদা ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতির জন্য সব আইনি এবং নৈতিক নির্দেশিকা মেনে চলে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তাদের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আমরা সততা এবং সহানুভূতির সাথে মানুষের সেবা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সর্বদা আমাদের রোগী এবং তাদের পরিবারের ওপর রাখা আস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা