২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চট্টগ্রামে জুলাই বিপ্লবে শহীদের খাতায় নাম উঠল কাউসারের

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত কাউসার মাহমুদের (ইনসেটে) মা সারজিস আলমকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন : নয়া দিগন্ত -

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া কাউসার মাহমুদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় পুলিশের টিয়ার শেলে আহত হওয়ার পর ছাত্রলীগের বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ৭০ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর গত রোববার রাতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কাউসার।
গত ২ আগস্ট নগরের নিউ মার্কেটে আন্দোলনের ছবি প্রোফাইলে দিয়ে লিখেছিলেন, ‘আসছে ফাগুন দ্বিগুণ নয়, ১৬ কোটি হবো।’ এটাই ছিল কাউসারের ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস। দু’দিন পর বেলা ১১টায় সেই নিউ মার্কেটে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরদিন ৫ আগস্ট নগরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান, গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত কাউসারের দু’টি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। দুই সপ্তাহ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কাউসারকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার রাতে তিনি শহীদের তালিকায় নাম উঠান।

কাউসার বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে। তার বাবা আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম কর্মাস কলেজ রোডে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ডবলমুরিং থানার মোগলটুলীতে একটি মুদির দোকান চালান আব্দুল মোতালেব।
মৃত্যুর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে গিয়েছিলেন কাউসার। একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কাউসার বলেছেন, ‘পুলিশের টিয়ার শেল খেয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। সেখানেই ছাত্রলীগ বাড়ি মারে। আব্বু-আম্মুকে কিছু না জানিয়ে ঘরে শুয়ে পরি। পরে আমার ব্যথা আর খিঁচুনি ওঠে।’ কাউসার মাহমুদের বাবা আব্দুল মোতালেব জানান, চট্টগ্রাম নগরের মোগলটুলি এলাকায় গতকাল সোমবার রাতে আব্দুর রহমান মাতব্বর জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে মসজিদের পাশে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement