০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে আইজিপি

দুর্গাপূজায় নাশকতার কোনো হুমকি নেই

-

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো: ময়নুল ইসলাম বলেছেন, এবার সারা দেশে সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। এসব মণ্ডপে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই। পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা দিতে প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। পূজা চলাকালে নাশকতার কোনো হুমকি নেই। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, সংখ্যাটা কম বেশি হতে পারে, এবার প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। এসব পূজা মণ্ডপে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। পূজার আগে আমরা প্রতিটি জায়গায় টহল বাড়িয়েছি। ইতোমধ্যে আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে। বোধন এবং ষষ্ঠী পূজা থেকে সব পূজামণ্ডপে তারা দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছে তারাও পূজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সবসময় কাছাকাছি দূরত্বে থাকবে। আনসার বাহিনীর সাথে ভলেন্টিয়াররাও কাজ করছে। ফলে পূজায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপতৎপরতার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কেউ যেন মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব ছড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা আমাদের আছে। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারও (এনটিএমসি) কাজ করছে।

পূজামণ্ডপ কম বেশি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতি বছরই পূজামণ্ডপ কম বেশি হয় বিভিন্ন কারণে। এবার কিন্তু ঢাকায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। পূজামণ্ডর সাথে অন্য কোনো কিছু জড়িত না। যেসব পূজা মণ্ডপে আমাদের কাছে ঝুঁকি মনে হয়েছে, সেসব পর্যায় মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় এটি করা সম্ভব হয়নি। এটা নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই।
পুলিশের গরহাজির (অনুপস্থিত) সদস্যদের চাকরিতে রাখার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেছেন, যারা গরহাজির তাদের কাছে কৈফিয়ত করা হয়েছে, নোটিশ করা হয়েছে। তারা যদি না আসে আমাদের ব্যবস্থা ক্লিয়ার, তাদের চাকরিতে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো পুলিশে যোগদান করেনি। কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে না দেশে আছে সেই তথ্য কেউ জানে না। এই ব্যাপারে আপনাদের কাছে কী তথ্য আছে এমন প্রশ্নের জবাবে ময়নুল ইসলাম বলেন, যারা বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন, ইতোমধ্যে আমরা তাদের অনেককেই গ্রেফতার করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় বিপ্লব যেটাকে আমরা বলছি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমাদের যে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে তারপরে যারা আন্দোলনে অতিরিক্ত (দমন নিপীড়ন) করেছে তারা কিন্তু নেই। এই সংখ্যাটা নিতান্তই অল্প। আমরা ইউনিট অনুযায়ী স্টপ করে রেখেছি এই সংখ্যাটা মাত্র ১৮৭ জন। ২ লাখ ১৪-১৫ হাজার বাহিনীর সদস্য, সেখানে ১৮৭ জন তারা বিভিন্ন কারণে গরহাজির হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement