০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১,
`

অবশেষে কারামুক্ত মাহমুদুর রহমান

কারামুক্তির পর আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান -

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার মো: আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় মাহমুদুর রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। গত রোববার তাকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আমরা খালাস চেয়ে আপিল করেছি। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর আমরা মাহমুদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
কখন মাহমুদুর রহমান কারামুক্ত হবেন সে বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, আমরা বেল বন্ড পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তিনি চান সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
আপিল শুনানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) খালাস চেয়ে করা আপিল গ্রহণ করেছেন। এরপর একটি তারিখ দিয়ে এই আপিলের শুনানি হবে। শুনানিতে আমরা যুক্তিতর্ক তুলে ধরব। আশা করি তিনি খালাস পাবেন।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন মামলাটিতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
ওই দিন আত্মসমর্পণের আগে মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আজকে আত্মসমর্পণ করেছি। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। এ মামলা পুরোটাই সাজানো ও সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। তৎকালীন সরকার ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা চালু রাখতে আমার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে।
আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে এই মামলার জন্ম হয়। এটা একটা পাতানো মামলা। এখানে মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, গত ১৬ বছর একটি সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ওই সরকারের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন ছিল না। জোর করে তারা ক্ষমতায় ছিল। মাহমুদুর রহমান দৃঢ়ভাবে ওই সরকারের সমালোচনা করতেন। সেই কারণে মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বহুবার কারাগারে যেতে হয়েছে।
তাকে হত্যার মুখোমখি হতে হয়েছে। শুধু তাই না, একটা পর্যায়ে তাকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ১৭ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান।


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ রাজনীতি করতে চাইলে তাদের আগে বিচার হতে হবে : অধ্যাপক মুজিবুর অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সঙ্কটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা ‘ছাত্র-জনতার খুনিরা রেহাই পাবে না’ লালমনিরহাটে সরকারি ৬০০ বস্তা চাউল উদ্ধার দেশের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফতুল্লায় ৬ কোটি টাকার ভারতীয় কাপড় জব্দ ভালুকায় মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করলেন মা ব্রাজিলের সাথে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ঢাকা বিপজ্জনক পর্যায়ে ঢাকার বায়ুদূষণ : গবেষণা আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে রাসূলের সা: সিরাত অনুসরণের বিকল্প নেই : শিবির সভাপতি

সকল