শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:৪৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একই সাথে সাজা পরোয়ানা রিকল করেছেন।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন শফিক রেহমান। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ মামলায় আপিল দায়েরের জন্য নকল এবং তার বিরুদ্ধে দেয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার ও সাজা পরোয়ানা রিকলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
শফিক রেহমান বলেন, জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। আমাদেরও বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। জনগণকে বাকরুদ্ধ করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
একই মামলায় গত রোববার দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছর ১৭ আগস্ট এই মামলায় মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন এই আদালতের সাবেক বিচারক আসাদুজ্জামান নূর। তাদেরকে পৃথক দু’টি অভিযোগে এই দণ্ড দেয়া হয়। একই সাথে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
রায়ের সময় আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এই মামলায় ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় এ মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল এই মামলায় শফিক রেহমান গ্রেফতার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা