অবিস্মরণীয় এক ম্যাচ হবে আজ!
- ০৬ জুলাই ২০১৮, ০৭:১৬
বিশ্বকাপ শুরুর আগে যদি প্রশ্ন করা হতো, কোন দল সবচেয়ে বেশি গোল করবে তাহলে অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমী জবাব দিতেন, ‘ব্রাজিল-ব্রাজিল।’ শুক্রবার কাজান এরিনায় ব্রাজিল দল খেলতে নামার অনেক আগেই বিলক্ষণ জেনে গেছে যে তাদের সাত গোলের জবাব প্রতিপক্ষ দল বেলজিয়াম দিয়েছে শেষ চারটি ম্যাচে এক ডজন গোল করে। বাড়তি গোল ক্ষুধাই এই রেড ডেভিলসের প্রধান সম্পদ। তাই এখনও অবধি মাত্র এক গোল হজম করা ব্রাজিলের ডিপ ডিফেন্সকে শুক্রবার টুর্নামেন্টের সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে হবে।
চলতি বিশ্বকাপে কাজান এরিনায় শুক্রবারই শেষ ম্যাচ। তাই এই ম্যাচের আগে কাজানের মেয়র ঘোষণা করেছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে যদি নেইমার হ্যাটট্রিক করতে পারে, তাহলে নিঝনি নভগোরোদ শহরে একটা লোভনীয় জমির প্লট তিনি উপহার দেবেন ব্রাজিল দলের নাম্বার টেনকে। বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের কোচ তিতে সাফ জানিয়ে দেন, ‘মার্সেলো ফিট। ও দলে ফিরছে। ড্যানিলোও প্র্যাকটিস করেছে। আমি মার্সেলোর সঙ্গে কথা বলেছি। গত দু’টি ম্যাচে ফেলিপ লুইস ভালো খেললেও শুক্রবার লেফট ব্যাকে শুরু করবে মার্সেলো।’ সেক্ষেত্রে নেইমারের সঙ্গে মসৃণ যোগাযোগ গড়ে তুলে মার্সেলো ব্রাজিলের বামপ্রান্তিক আক্রমণগুলো আরো ক্ষুরধার করে তুলবেন। তবে চোটের জন্য হোল্ডিং মিডফিল্ডার কাসেমিরো এই ম্যাচে নেই। তার জায়গা নেবেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফার্নান্দিনহো। যিনি জানেন, ম্যান সিটিতে তার সতীর্থ কেভিন ডে ব্রুইনের গেম স্টাইলের আগাপাশতলা।
মূলত নেইমারকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে প্রফেসর তিতের এই ম্যাচ জেতার গেম প্ল্যানিং। তিনি নেইমারের সৃজনশীলতা খর্ব করার ঘোর বিরোধী। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে তিতে বলেন, ‘আমি বরাবর দলের ফরোয়ার্ডদের ব্যক্তিগত স্কিলের বিচ্ছুরণ উপভোগ করি। মাঠে আমি নেইমারকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে থাকি। তবে আজ আমি ওদের বলেছি, ফাইনাল থার্ডে আরও বেশি ইমপ্রোভাইজেশন দেখাও। কারণ, বেলজিয়াম খুব সংগঠিত দল। তাই ওদের ডিফেন্স ভেঙে গোল করতে হলে আমাদের দলের অ্যাটাকারদের বাড়তি সৃজনশীলতা দেখাতেই হবে।
প্রফেসর তিতে ও বেলজিয়ান কোচ রর্বাতো মার্টিনেজ উভয়েরই ধারণা, শুক্রবার এক স্মরণীয় ম্যাচ উপহার দেবে দুই দল। কেউই ওপেন আক্রমণে ঝাঁপাবে না। খেলবে ট্যাকটিক্যাল ফুটবল। থাকবে জোনাল মার্কিং। তিতে সকলকে অবাক করে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘বেলজিয়াম বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম ফেভারিট দল। আমি চাই, দু’টি দলই বিউটিফুল ফুটবল উপহার দিক। তারপর দেখা যাবে কারা শেষ হাসি হাসে।’
বেলজিয়ান কোচ রবার্তো মার্টিনেজ জানান, ‘সকলেই ধরে নিয়েছে ব্রাজিল এই ম্যাচে ফেভারিট। আর সেটাই স্বাভাবিক। তাই আমি ইডেন হ্যাজার্ডদের বলেছি, তোমাদের দেশের সোনালি প্রজন্মের ফুটবলারদের বিশ্বকাপ জেতার এটাই শেষ সুযোগ। এগারজনই আক্রমণে ওঠো। তারপর প্রয়োজনে ১১ জনই ডিফেন্স সামলাতে নিচে নেমে এসো। ওদের ওপেন স্পেস দিও না।’ রেড ডেভিলসের কেভিন ডে ব্রুইন ও ইডেন হ্যাজার্ডকে সামলাতে না পারলে ঝামেলায় পড়বে ব্রাজিল। মূলত এই দু’জনেই লুকাকুকে গোলের ফিড করে। কাসেমিরো না থাকায় এই দায়িত্ব ফার্নান্দিনহো ও পাওলিনহোকে পালা করে নিতে হবে।
তবে শুক্রবারের ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নেইমার ও ফিলিপ কুটিনহোর যুগলবন্দি। এটা ক্লিক করলে কেল্লাফতে।