২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

টাইফুন ইয়াগির তাণ্ডবে ভিয়েতনামে মৃত্যু বেড়ে ৮২, বাস্তুচ্যুত ৫৯ হাজার

- ছবি : বাসস

ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগির তাণ্ডবে ব্যাপক বন্যা প্লাবিত হওয়ায় মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা ৮২ জনে পৌঁছেছে এবং কয়েক হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

শনিবার আঘাত হানা ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ, ভূমিধস ও বন্যার পরিস্থিতি এখনো অব্যাহত বয়েছে। ইয়াগি প্রতি ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটারের বেশি বেগে বাতাস বয়ে আনে। স্থানীয়দের মতে প্রলয়ঙ্করী বৃষ্টি কয়েক দশকের নজীরবিহীন বন্যার সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় একজন সিনিয়র র্কমর্কতার উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, রাজধানী হ্যানয়ে বন্যার পানি এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যা ২০০৮ সালের পর দেখা আর যায়নি। নগরীর ঐতিহাসিক কেন্দ্রে আরো বেশি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে সতর্ক করা হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানিয়েছে, বন্যার পানিতে প্রায় ১৮ হাজার বাড়িঘর ডুবে গেছে। ইয়েন বাই প্রদেশে ৫৯ হাজারের বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। কিছু এলাকায় হাজার হাজার মানুষকে ছাদে আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছে অনেকে।

ইয়াগি সেতু ও ভবনের ছাদসমূহ ভেঙে গেছে, ব্যাপক বন্যা কল-কারখানার ক্ষতিসাধন এবং ভূমিধসের সূত্রপাত ঘটানোয় ৬৪ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

হ্যানয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ে নগরীর ২৫ হাজারেরও বেশি গাছ উপড়ে গিয়ে নগরীর কেন্দ্রস্থলের প্রধান রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ করে, বড় ধরণের যানজটের সৃষ্টি করেছে।

আবহাওয়াবিদরা বলেন, ইয়েন বাই নগরীতে বন্যার জল রেকর্ড মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্যামসাংসহ বৈশ্বিক প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। কর্তৃপক্ষ উত্তরাঞ্চলের ১৮টি প্রদেশের ৪০১টি কমিউনের জন্য বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে।

জুলাই মাসে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে এই অঞ্চলে টাইফুনগুলো উপকূলের কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে এবং আরো দ্রুত তীব্র হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থলভাগের উপরে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছে। সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement