২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

গ্রিক উপকূলরক্ষীদের কারণে ৪০ জনের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু!

গ্রিক উপকূলরক্ষীদের কারণে ৪০ জনের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু! - ছবি : সংগৃহীত

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণসহ বিবিসির তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে তিন বছরে ১৫টি ঘটনায় ৪০ জনের বেশি অভিবাসীর মৃত্যুর জন্য গ্রিক কোস্টগার্ড দায়ী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নয়জন অভিবাসীকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ সাগরে ফেলে দেয়া হয়। এই নয়জন এবং অন্য অভিবাসীদের গ্রিক আঞ্চলিক পানিসীমা থেকে জোর করে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল বা গ্রিক দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর পর ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

বিবিসি জানায়, গ্রিসের কোস্টগার্ডের কর্মকাণ্ডের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার সংখ্যা এই প্রথমবারের মতো বিবিসি গণনা করেছে।

তবে গ্রিসের কোস্টগার্ড এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মৃতের সংখ্যা ২০২০ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে ১৫টি ঘটনা নিয়ে বিবিসির বিশ্লেষণ থেকে উদ্ভূত।

বিবিসি জানায়, তাদের সূত্রের মধ্যে এনজিও, তুর্কি কোস্টগার্ড, স্থানীয় গণমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়েছেন।

‘ডেড কাম কিলিং ইন দ্য মেড?’ শীর্ষক তথ্যচিত্রে বিবিসির এই গবেষনা তুলে ধরা হবে।

গ্রিসের আইন অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীরা বিভিন্ন দ্বীপের কেন্দ্রে তাদের আবেদন নথিভুক্ত করতে পারেন। তবে অভিবাসীরা বিবিসিকে বলেন, ইউনিফর্ম পরিহিত নয়, মাস্ক পরা লোকজন তাদেরকে থামিয়ে দেয় এবং তারা দৃশ্যত গোপনে কাজ করছিল।

বিবিসি জানায়, গ্রিসের কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানের সাবেক প্রধান দিমিত্রিস বালতাকোসকে ফুটেজে দেখা গেছে। ফুটেজে দেখা যায়, নারী ও শিশুসহ লোকজনকে কোস্টগার্ডের একটি নৌকায় তোলা হচ্ছে এবং তারপর একটি ভেলায় তোলা হচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ফুটেজে কী দেখা গেছে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করতে রাজি হননি বালতাকোস। কিন্তু ক্যামেরার রেঞ্জের বাইরে এবং মাইক্রোফোন সচল থাকা অবস্থায় তিনি গ্রিক ভাষায় একজনকে বলেন, তিনি যা দেখেছেন তা ‘স্পষ্টতই অবৈধ’ এবং ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ’।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement