হাসপাতালে দেখতে না যাওয়ায় নাতনিদের কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করলেন বৃদ্ধ

পাঁচ কোটির বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন বৃদ্ধ। সাথে আরো প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বাড়ি ছিল তার নামে। তার মৃত্যুর পর সন্তানদেরই সে সম্পত্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু মৃত্যুর আগে উইল করে সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন বৃদ্ধ। বঞ্চিত করলেন পাঁচ নাতনিকে।

অভিযোগ, শেষ জীবনে ওই নাতনিরা তাকে দেখতে যাননি। ফিরেও তাকাননি তার দিকে। তাই পাঁচ কোটির সম্পত্তি থেকে তাদের মাত্র ছয় হাজার টাকা দিয়ে গেছেন বৃদ্ধ।

ঘটনাটি ব্রিটেনের। দাদুর এই ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নাতনিরা। তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি। বিচারক বৃদ্ধের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, বৃদ্ধ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ওই নাতনিরা তাকে দেখতে যাননি। তাই তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন। সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে তাই বৃদ্ধের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

২০২০ সালেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তিনবার তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অভিযোগ, ওই সময়ে এই পাঁচ নাতনি তাকে একবারের জন্যেও দেখতে যাননি।

উল্লেখ্য, বৃদ্ধের তিন ছেলে। তাদের মধ্যে একজন ২০১৫ সালে মারা গেছেন। ওই ছেলের পাঁচ কন্যাকেই সম্পত্তি থেকে ‘বঞ্চিত’ করেছেন তিনি। পাঁচজনকে দিয়েছেন ৫০ পাউন্ড করে। বাংলাদেশী মুদ্রার হিসাবে যার মূল্য ছয় হাজার টাকা। সম্পত্তির বাকি অংশ এবং বাড়িটি তিনি বাকি দুই ছেলের নামে লিখে দিয়ে গেছেন।

বৃদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা শুনে আদালতে গিয়েছিলেন পাঁচ নাতনি। সম্পত্তির ভাগ চেয়েছিলেন তারা। বিচারক জানিয়েছেন, বৃদ্ধের সিদ্ধান্ত ‘সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত’। দাদুর প্রতি ওই নাতনিদের কর্তব্য পালন করা উচিত ছিল বলেও জানায় আদালত।
সূত্র : আনন্দবাজার