২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জার্মানিতে দক্ষিণপন্থীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সুফল কি পাওয়া যাবে?

জার্মানিতে দক্ষিণপন্থীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সুফল কি পাওয়া যাবে? - ছবি : ডয়চে ভেলে

জার্মানি জুড়ে এএফডি দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় সেই শক্তির প্রতি সমর্থন এখনো কমছে না। বিশ্বের অন্য কিছু দেশের মতো জার্মানির সমাজও কি চরম বিভাজনের দিকে এগোচ্ছে?

গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত এক সংবাদের সূত্র ধরেই জার্মানি জুড়ে এএফডি দলের বিরুদ্ধে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলের কিছু সদস্য সমমনস্ক উগ্র দক্ষিণপন্থী ব্যক্তিদের সাথে জার্মানি থেকে বিদেশিদের বিতাড়ন করতে এক ষড়যন্ত্রের রূপরেখা রচনা করেছিলেন বলে ‘কারেক্টিভ’ নামের এক অনুসন্ধানী সংবাদ সূত্র জানিয়েছিল।

চরম দক্ষিণপন্থী এএফডি দল জার্মানিতে চরম বিভাজন সৃষ্টি করছে। একদিকে জনমত সমীক্ষায় এখনো দ্বিতীয় স্থান দখল করে সেই দল আগামী নির্বাচনগুলিতে অভূতপূর্ব সাফল্যের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলছে। অন্যদিকে প্রবল শীত সত্ত্বেও গোটা দেশ জুড়ে লাখ লাখ মানুষ সেই দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

সপ্তাহান্তেও জার্মানির বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদকারীরা সোচ্চার ছিলেন। শুধু শুক্রবার ও রোববারের মধ্যে প্রায় ১০০ জায়গায় এএফডি-বিরোধী বিক্ষোভ আয়োজিত হয়েছে।

আয়োজকদের মতে, সব মিলিয়ে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন। রোববার মিউনিখ শহরে প্রায় এক লাখ মানুষ এএফডি দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে উপস্থিত হলে নিরাপত্তার খাতিরে আয়োজকদের শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ বাতিল করতে হয়েছে। বার্লিনেও রোববার সন্ধ্যায় প্রায় এক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন।

গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত এক সংবাদের সূত্র ধরেই জার্মানি জুড়ে এএফডি দলের বিরুদ্ধে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলের কিছু সদস্য সমমনস্ক উগ্র দক্ষিণপন্থী ব্যক্তিদের সাথে জার্মানি থেকে বিদেশিদের বিতাড়ন করতে এক ষড়যন্ত্রের রূপরেখা রচনা করেছিলেন বলে ‘কারেক্টিভ’ নামের এক অনুসন্ধানী সংবাদ সূত্র জানিয়েছিল। জার্মানির পূর্বাঞ্চলে তিনটি রাজ্যের নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে ভোটারদের সামনে এএফডি দলের ‘প্রকৃত চরিত্র’ তুলে ধরতে আয়োজকরা দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করছেন। বিশেষ করে যেসব মানুষ শুধু প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে এএফডি দলকে সমর্থন করছেন, বিক্ষোভের মাধ্যমে তাদের মতবদলের আশা করা হচ্ছে। একাধিক রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ফুটবল ব্যক্তিত্ব চরম দক্ষিণুন্থীদের বিরুদ্ধে মানুষকে অবস্থান নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

বিপুল জনসমর্থন ধরে রাখতে পারলে পূবের স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে নির্বাচনে এএফডি দল এমনকি ক্ষমতায় আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আগামী বছর ফেডারেল নির্বাচনের আগে ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে দলটি দেশের বাকি অংশেও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সমর্থনের মুখ দেখে আগামী সংসদে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। সেই ‘অঘটন’ এড়াতে আইনি পথে নানা রকম পদক্ষেপের প্রস্তাব শোনা যাচ্ছে। তবে এএফডি দল, দলের নির্দিষ্ট কিছু অংশ বা কয়েকজন নেতার অধিকার খর্ব করার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে দলটিকে সংবিধানবিরোধী হিসেবে তুলে ধরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।

তাদের মতে, বরং রাজনৈতিক আঙিনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলের প্রকৃত অ্যাজেন্ডা তুলে ধরে প্রতিবাদী ভোটারদের মনে এএফডি সম্পর্কে সংশয় জাগিয়ে তোলাই সঠিক পথ।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
জোগাড় হলো না বাজারের টাকা, লাশ হয়ে ফিরলেন তুহিন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যু ব্যাটে-বলে ভালো খেলেও দলকে জেতাতে পারলেন না সাকিব ভারতে নারী সামরিক অফিসারদের নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট ভারতে নলকূপ থেকে পানি নেয়ায় দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি : পাকিস্তানকে ৫৯১ রুপি দিয়ে সমাধানের ভাবনা আইসিসির এবার লিভারপুলের কাছে আটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ উত্তরসূরী হিসেবে রাউহির নাম ঘোষণা করলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আইসিসি’ এশিয়া ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পুরস্কার পেল অধিকার মারবা? পারবা না।

সকল