স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করছে ন্যাটো
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১
স্নায়ুযুদ্ধের পর ৯০ হাজার সেনা নিয়ে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করতে চলেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়ার হামলা হলে সেক্ষেত্রে জাতীয় ও বহুজাতিক স্থলবাহিনী মোতায়েন এবং সজাগ থাকা নিয়েই মূলত এ মহড়া চালানো হচ্ছে।
ইউরোপে, বিশেষত বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে এ বছর মে মাসজুড়ে চলবে স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার শীর্ষক এ মহড়া। ন্যাটোর শীর্ষ কমান্ডার ক্রিস ক্যাভোলি বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতেই রাশিয়ার হামলার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়।
ন্যাটো জানায়, ৫০টির বেশি বিমানবাহী রণতরী থেকে ডেস্ট্রোয়ার মহড়ায় অংশ নেবে। আরো অংশ নেবে ৮০টির বেশি জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন এবং অন্তত ১১০০ যুদ্ধযান, যার মধ্যে থাকবে ১৩৩টি ট্যাংক এবং পদাতিক বাহিনীর লড়াইয়ের ৫৩৩টি যুদ্ধযান।
ন্যাটো কমান্ডার ক্যাভোলি বলেন, ন্যাটোর আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মহড়া চলবে। রাশিয়ার হামলা হলে কিভাবে এর জবাব দেয়া হবে তা নিয়ে ন্যাটো কয়েক দশক ধরে প্রথম যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করেছে সেটিরই মহড়া চালিয়ে দেখা হবে।
ন্যাটো তাদের মহড়ার ঘোষণায় রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। তবে তাদের শীর্ষ কৌশলগত নথিতে রাশিয়াকে ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর নিরাপত্তায় সবচেয়ে গুরুতর এবং সরাসরি হুমকি হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। ন্যাটো বলেছে, ‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ ইউরোপের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে উত্তর আমেরিকা এবং জোটের অন্যান্য অংশ থেকে দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনে ন্যাটোর সক্ষমতা প্রদর্শনেরই মহড়া।
ন্যাটোর হিসাব মতে, একই ধরনের এমন মহড়া ‘রিফরজার’ সর্বশেষ চালানো হয়েছিল ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়। তাতে অংশ নিয়েছিল এক লাখ ২৫ হাজার সেনা এবং ২০১৮ সালে ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ৫০ হাজার সেনা।
সূত্র : রয়টার্স