প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে নতুন রহস্য
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৪
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব নিকোলাই পাত্রুসেভ। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর, ওয়াগনার মেশিনারি গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে হত্যা করার জন্য তাকেই নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধের সময়তেও রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অন্যতম বড় অংশ ছিল এই ওয়াগনার গ্রুপ। তবে ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে এই সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে তারা পুরোপুরি বিদ্রোহ শুরু করে দেয়।
প্রিগোজিন এরপর তথাকথিত মার্চ অফ জাস্টিস যাত্রার অংশ হিসেবে মস্কোর দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি সমঝোতা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসে প্রিগোজিন ও অন্যান্য ওয়াগনার কমান্ডারের নিহত হন একটি বিমান দুর্ঘটনায়।
সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব নিকোলাই পাত্রুসেভ দীর্ঘদিন ধরেই প্রিগোজিনকে দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর বলেই মনে করেন।
নিকোলাই পাত্রুসেভ ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই তার ছায়াসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন। তাকে রাশিয়ার দ্বিতীয় শক্তিশালী মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্রোহের পর থেকে প্রিগোজিনকে শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে ফেলেন। আসলে ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতাও চলছিল বলে খবর। প্রিগোজিন প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে ফেলছিলেন বলেও খবর।
বিমানে বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয়েছিল প্রিগোজিনের। রাশিয়ান নেতৃত্বের মতে, বিমান চালানোর সময় কোনোভাবে গ্রেনেড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো ভুল হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে গোটা বিমানটিই উড়ে যায় বিস্ফোরণে।
কিন্তু, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট বলছে, প্রিগোজিনের বিমানটি যখন মস্কো এয়ারপোর্টে ছিল তখন তার পাখার সাথে একটা ছোট বোম বেঁধে দেয়া হয়েছিল। তার ফলেই বিস্ফোরণ হয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস