ইতালিতে অনেক আগেই করোনার অস্তিত্ব পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ জুন ২০২০, ১৩:১১, আপডেট: ২০ জুন ২০২০, ১৩:১২
দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (আইএসএস) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইতালিতে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার অনেক আগেই গত ১৮ ডিসেম্বর দেশটির মিলান ও তুরিন শহরের বর্জ্য পানিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছিল বলে মনে করা হচ্ছে, তার আগে থেকেই এটি পরিভ্রমণ করছিল।
চীনা কর্মকর্তারা গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আর ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
ফরাসি বিজ্ঞানীরা নমুনা পরীক্ষা করে জানান, গত ডিসেম্বরের ২৭ তারিখে প্যারিসের কাছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত একজন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছিল, যিনি মূলত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
এদিকে এক গবেষণায়, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনা থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য পানিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা স্পেনে স্থানীয়ভাবে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রায় ৪০ দিন আগের ঘটনা।
এর আগে আইএসএসের বিজ্ঞানীরা গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে উত্তর ইতালির বর্জ্য পানি শোধনাগার থেকে ৪০টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন।
আইএসএসের পানি বিশেষজ্ঞ গুইসেপিনা লা রোজা জানান, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের নমুনাগুলো পরীক্ষা করে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে জানুয়ারিতে বোলোগনা থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য পানিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, এ গবেষণাগুলো ইতালিতে কীভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল তা বুঝতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করতে পারে।
ইতালিতে স্থানীয়ভাবে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল লোম্বার্ডি অঞ্চলের কোডোগনো শহরে। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি ওই শহরটি লকডাউন করে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে পার্শ্ববর্তী ভেনেতোসহ লোম্বার্ডি অঞ্চলের নয়টি শহর লকডাউন করা হয়। আর মার্চের প্রথম দিকে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।