পূর্ণ স্বাধীনতা চায় গ্রিনল্যান্ড
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১১
যুক্তরাষ্ট্র বা ডেনমার্ক, কারো অধীনে থাকতে চায় না গ্রিনল্যান্ড। সঙ্কটকালীন এই সময়ে নিজেদের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করেছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মেত এজেদ।
সম্প্রতি ডেনিশ সরকারের সাথে এক সম্মিলিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন এজেদ।
ডেনমার্কের স্বায়ত্ত্বশাসিত দ্বীপভূমি গ্রিনল্যান্ড বহুদিন ধরে নিজেদের স্বাধীনতার দাবি তুলে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছা প্রকাশের পর থেকে নতুন করে ফের নিজেদের স্বাধীনতার দাবি তুলল অঞ্চলটির অধিবাসীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংযুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসীরা জানান, ইউরোপীয় ফ্রি শিক্ষা ও চিকিৎসার সুবিধা পান তারা। আমেরিকা যত শক্তিশালীই হোক নাগরিক সুবিধার দিক থেকে তারা ইউরোপের তুলনায় নিঃসন্দেহে পেছনে। তাই আর যা-ই হোক নাগরিক সুবিধা হারাতে চান না দ্বীপটির অধিবাসীরা।
ডেনিশরা এতদিন গ্রিনল্যান্ড এবং এর সংস্কৃতিকে বৈষম্যের চোখে দেখেছে। এমনকি ডেনিশ চিকিৎসক দিয়ে গ্রিনল্যান্ডের নারীদের অজ্ঞাতসারে বন্ধ্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে সেখানকার অধিবাসীরা।
কোন প্রক্রিয়ায় গ্রিনল্যান্ড স্বাধীনতা পাবে সে ব্যাপারে ধারণাও দিয়েছেন এজেদ। গ্রিনল্যান্ডের মানুষের ওপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণভোটের মাধ্যমে দেশটির স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আসতে পারে বলে মত তার।
এদিকে, ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডে নিজের সমর্থন বাড়াতে ঘুষ দিয়ে আমেরিকার পক্ষে স্লোগান দেয়াচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলেছে কয়েকটি রুশ মিডিয়া। মাত্র ৫৬ হাজার মানুষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপের ভবিষ্যৎ।
তবে অনেকেই বলছেন, এ যাত্রায় ট্রাম্পের উসকানিতে গ্রিনল্যান্ড স্বাধীন হয়ে গেলে সেটি হবে মন্দের ভালো।
সূত্র : এএফপি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা