যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ আয়োজন করতে যাচ্ছে রাশিয়ার নির্বাসিত বিরোধী দল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৮
রাশিয়ার নির্বাসিত বিরোধী দল মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিবাদে রোববার বার্লিনে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজন করতে যাচ্ছে। বার্লিন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ক্রেমলিন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ায় যেকোনো বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছে এবং বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর কঠোর দমনপীড়নের পাশাপাশি হাজার হাজার ভিন্ন মতাবলম্বীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।
ভ্লাদিমির পুতিন প্রায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন। তার সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এখন মৃত, কারাগারে বন্দি বা নির্বাসিত। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনি মারা গেছেন। পুতিনের অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী রহস্যজনক পরিস্থিতিতে একটি আর্কটিক কারাগারে মারা যান। তার বিধবা স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া আসন্ন যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক।
দেশে পুতিনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিতে না পারা বিরোধীরা বিদেশে পুনরায় পুতিনবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের আগ্রাসনের পরপরই কয়েক হাজার রাশিয়ান পালিয়ে যায়। বার্লিনকে এই আন্দোলনের প্রধান স্থান হিসাবে বেছে নেয়া হয়েছে। বার্লিনে হাজার হাজার পুতিনবিরোধী রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
বিক্ষোভ-মিছিলটির জার্মান রাজধানীর কেন্দ্রে গ্রিনিচ মান সময় ১৩০০টায় শুরু হবে। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রুশ দূতাবাসের বাইরে গিয়ে শেষ হবে। নাভালনায়া সমাবেশের জন্য অন্য দুই বিরোধীদের সাথে যোগ দিচ্ছেন সাবেক মস্কো সিটি কাউন্সিলর ও দীর্ঘদিনের পুতিনবিরোধী প্রচারক ইলিয়া ইয়াশিন। এছাড়া এতে ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাও যোগ দেবেন। তাকে দু’বার বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দা ও সমালোচনা করার কারণে ইয়াশিন ও কারা-মুর্জা উভয়কেই কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে পশ্চিমাদের সাথে বন্দী-বিনিময়ের মাধ্যমে এই দুই নেতা মুক্তি পান।
আয়োজকরা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনমূলক যুদ্ধনীতি ও রাশিয়ায় রাজনৈতিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন, তাদের সবাইকে একত্রিত করা এই পদযাত্রার লক্ষ্য।’
বিরোধী দল বলছে, তাদের তিনটি প্রধান দাবি রয়েছে ইউক্রেন থেকে ‘অবিলম্বে রুশ সেনা প্রত্যাহার’, ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে পুতিনের বিচার ও রাশিয়ায় সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি।
আসন্ন এই কর্মসূচি পুতিনবিরোধী আন্দোলনকে পুনরিজ্জিবিত করার প্রাথমিক ধাপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
সূত্র : এএফপি/বাসস