২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে ‘রহমান-শবনম’ জুটি

যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে ‘রহমান-শবনম’ জুটি -

বাংলাদেশের সিনেমায় প্রথম সফল জুটি রহমান-শবনম জুটি। এরপর থেকে আজ অবধি বাংলাদেশের সিনেমায় জুটি প্রথা বিশেষভাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। রহমান-শবনম জুটির পর বাংলাদেশের সিনেমায় ‘রাজ্জাক-কবরী’, ‘আলমগীর-শাবানা’,‘ জাফর ইকবাল-ববিতা’,‘ সালমান শাহ-শাবনূর’, ‘মৌসুমী-ওমরসানী’,‘ শাকিব-অপু’ বিশ^াস জুটিও দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়। ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’ সিনেমায় ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা, রূপের জাদু এনেছি’ গানটিতেই শুধু পারফর্ম করে প্রথম আলোচনায় আসেন শবনম। তার পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শক। যে কারণে এহতেশামের প্রযোজনায় তার ভাই মুস্তাফিজ ‘হারানো দিন’ সিনেমাতে ‘রহমান-শবনম’কে জুটি হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করেন। সিনেমাটি ১৯৬১ সালের ৪ আগস্ট মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই রহমান-শবনম’র অভিনয়ে মুগ্ধ হয় দর্শক। এরপর তারা দু’জন বাংলা-উর্দু সিনেমায় জুটি হিসেবে অভিনয় করেন ‘জোয়ার ভাটা’, ‘আমার সংসার’,‘ চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘প্রীত না জানে রীত’,‘ দরশন’,‘ চলো মান গায়ে’,‘ চাহাত’সহ আরো বেশ কয়েকটি সিনেমা। তবে একটা সময় এসে শবনম পাকিস্তানের সিনেমায় অভিনয়ে তুমুল ব্যস্ত হয়ে উঠায় বাংলাদেশে খুব বেশি সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ হয়ে উঠেনি।

অশোক ঘোষের ‘নাচের পুতুল’ সিনেমাতে অভিনয় করে আবারো সাড়া ফেলেন শবনম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ৮ জানুয়ারি সিনেমাটি মুক্তি পায়। এই সিনেমারই গান ‘আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন’ এখনো শ্রোতা দর্শকের ভীষণ প্রিয় একটি গান। এর পরও শবনম ‘শর্ত’, ‘সন্ধান’,‘ জুলি’, ‘কারণ’, ‘যোগাযোগ’,‘ সন্দেহ’ সিনেমাতে অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশে শবনম অভিনীত কেবানো সিনেমা মুক্তি পায়। সিনেমাটির নাম ছিল ‘আম্মাজান’, এটি নির্মাণ করেছিলেন কাজী হায়াৎ। এই সিনেমাতে তিনি নায়ক মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এটিই ছিল তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা। আর সর্বশেষ সিনেমাতেই অনবদ্য অভিনয়ের কারণে এখনো দর্শকের কাছে তিনি ‘আম্মাজান’ হিসেবেই সমাদৃত হয়ে আছেন।

এ দিকে আজ শবনমের জন্মদিন। জন্মদিনে কখনোই তিনি বিশেষ কোনো আয়োজন করেন না। দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনও করেন না তিনি। শবনম বলেন,‘ছোটবেলায় জন্মদিন উদযাপন ছিল অনেক আনন্দের। গিফট পেতাম, খুব ভালো লাগতো। বাবা-মা’কে সবসময়ই ভীষণ মিস করি। মিস করি ছোটবেলার বন্ধুদের। আর মিস করি ফেলে আসা দিন। জীবনের শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছি। সবার কাছে দোয়া চাই যত দিন বাঁচি, যেন সুস্থ অবস্থাতেই বাঁচি। আর আমার দেশটা যেন ভালো থাকে, দেশের মানুষ যেন শান্তিতে থাকে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ গুমের ঘটনা তদন্তে কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি : কমিশন প্রধান দায়মুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিশেষ তদারকি শুরু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সাহস ও অভিজ্ঞতা আমার আছে ইমরানের দলের বিক্ষোভ ঠেকাতে ইসলামাবাদ লকডাউন ডেঙ্গুতে ১ দিনে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল