২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

উপায় না দেখে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি: জয়া আহসান

উপায় না দেখে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি: জয়া আহসান -

জয়া আহসান, বর্তমান সময়ের অলরাউন্ডার অভিনেত্রী। সিনেমা, মডেলিংয়ের পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমেও তাকে বেশ সরব দেখা যায়। চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে তার দুটি ছবি। নাম ‘পেয়ারার সুবাস’ ও ‘ভূতপরী’। এসব নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নয়া দিগন্তের সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাকিবুল হাসান

সম্প্রতি আপনি বিনোদনের কাজে হাতিকে ব্যবহার ও হাতিকে বাধ্য করতে নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন। এর কারণ কী?
জয়া আহসান: হাতিদের যেভাবে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়, কয়েক মাস ধরে কঠিন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়; এটা আমার কাছে একেবারেই বর্বরতা মনে হয়। একটা আধুনিক বাংলাদেশে আমরা এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ ছাড়া হাতি একটি বিপদাপন্ন প্রাণী, এটা নিয়ে খেলা দেখানো অপরাধ ও নৈতিকতার পরিপন্থী। হাতি নিয়ে চাঁদা নিতে গিয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এই বর্বরতা বন্ধ করার জন্য আমরা বহুবার বন বিভাগকে অনুরোধ করেছি। শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে আমাদের দেশের এই সম্পদকে রক্ষা করতে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করছি আদালত আমাদের রাষ্ট্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য যুগান্তকারী রায় দেবেন।
আপনি সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন। এই অর্থ ফেরত দিলেন কেন?
জয়া আহসান: ‘রইদ’ নামের একটি সিনেমার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিলাম। যে কারণেই হোক নির্মাণ প্রক্রিয়া বিলম্ব হচ্ছে। সুমনকে বারবার তাগাদা দিয়েছি, এ দিকে অনুদানের অর্থ নিয়ে ছবি নির্মাণ না করাটা অশোভন মনে হয়েছে আমার, তাই ফেরত দিয়েছি।
চলতি মাসে আপনার দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
জয়া আহসান: এটা সত্যি যে, সরাসরি দর্শকদের মন্তব্য নেয়ার সুযোগ হয়নি। তারপরও দুটি ছবির জন্য দুই দেশের বেশ কয়েকটি পেক্ষাগৃহে ঘুরেছি, অনেকের সাথে কথা বলেছি। তাদের প্রায় সবারই সিনেমা দুটি ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দুটি নিয়ে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। আমি যেমন ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শকের আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। দর্শকের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। কারণ দুটি কনটেন্টই ভালো। ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার মাধ্যমে নির্মাতা ভিন্ন এক গল্প বলতে চেয়েছেন। এতদিন আমরা বলে এসেছি ছবিটি শুধু সংবেদনশীল মানুষের জন্য। আসলে তা নয়। বলতে পারেন, এটা সব ধরনের মানুষের জন্য। যে গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে তা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। ছবিটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে। মানুষেরা ছবিটি বেশ পছন্দ করছেন।
অনেকেই বলছেন ‘পেয়ারার সুবাস’-এ অ্যাডালভ সিন বেশি।
জয়া আহসান : এরকম কোনো কথা আমার কানে আসেনি। দেখুন, গল্পের প্রয়োজনে একটি সিনেমা, সিরিজ বা নাটকে অনেক কিছুই দেখাতে হয়। একটা ছবিতে দুঃখ-কষ্ট, হাস্যরসসহ নানা কিছু থাকে। তারচেয়ে বড় বিষয়- নির্মাতা কিভাবে গল্পটি উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। সেই চেষ্টার সাথে অভিনয়শিল্পীদের অভিনয় বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কী না, তাই মুখ্য।
ইদানীং আপনি নাকি কলকাতায় বেশি থাকেন। কারণ কী?
জয়া আহসান: জানি না লোকে কেন এমন মনে করেন। আমি ঢাকায় থাকি। ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৩০ মিনিট। যখন শুটিং হয় তখন ব্যাগ-বাক্স গুছিয়ে সেখানে যাই। শুটিং শেষে ফিরে আসি। এখানে ধরে নেয়ার কোনো বিষয়ই নেই যে আমি শুধু বাইরে কাজ করি।


আরো সংবাদ



premium cement