২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের প্রথম ঋণ পাচ্ছে যে প্রেক্ষাগৃহ

হাজার কোটি টাকা প্রকল্পের প্রথম ঋণ পাচ্ছে যে প্রেক্ষাগৃহ -

করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলাতে সরকার নতুন প্রেক্ষাগৃহ, মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ ও বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়নের জন্য স্বল্প সুদে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রথম ঋণ পেতে যাচ্ছে মুন্সীগঞ্জের প্রেক্ষাগৃহ স্বপ্নপুরী। তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে দুই কোটি টাকার ঋণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট অগ্রণী ব্যাংকে ৩৮টি প্রেক্ষাগৃহের ফাইল জমা দেয়া হয়। এর মধ্যে স্বপ্নপুরী প্রেক্ষাগৃহের আবেদনটি প্রথম দিনই ঋণের জন্য ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন। এর আগে গত মার্চ মাসে রূপালী ব্যাংকে ৫৩টি হল সংস্কার, মাল্টিপ্লেক্স-প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের জন্য ঋণের আবেদন করা হয়। সেগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ বলেন, ‘আমাদের কাছে ৫৩ জন সদস্য আবেদন করেছেন। এর সবগুলোই প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের জন্য ও প্রায় সবগুলোই ঢাকার বাইরের। আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজও সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন জমা দেয়ার অপেক্ষা। সোনালী ব্যাংকের সাথে এ নিয়ে কথা চলছে প্রদর্শক সমিতির। রোজার মধ্যে এ আবেদনগুলো জমা দেয়া হবে। আবেদন জমার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষও বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করবে। তার পর ঋণ সুবিধা পেতে পারেন হল মালিকরা।’
এ দিকে স্বপ্নপুরী প্রেক্ষাগৃহের স্বত্বাধিকারী ও সিনেমা হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের জন্য বরাদ্দটা একটু বেশি চেয়েছিলাম। তবে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আমাকে জানান, তারা দুই কোটি টাকা ঋণ দিতে পারবেন। পরে আমি তাতেই রাজি হয়েছি। প্রাথমিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছে। আশা করি, দ্রুতই টাকাটা হাতে আসবে।’
জানা যায়, নতুন মাল্টিপ্লেক্স-প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করতে মালিকরা সর্বোচ্চ ১০ কোটি ও সংস্কারের জন্য পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এতে সংস্কারের জন্য স্বপ্নপুরী ও তার মালিক মাসুদ রানার নামে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের যেকোনো প্রেক্ষাগৃহ তৈরি বা সংস্কারে এ ঋণের আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে ৫ শতাংশ আর এর বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে হল মালিকরা সুবিধাটা নিতে পারবেন। আর এই ঋণ শোধ করা যাবে আট বছর পর্যন্ত। তবে সুবিধা গ্রহণের প্রথম বছরে ঋণ পরিশোধে মিলবে বিশেষ ছাড়।
প্রসঙ্গত, দেশের সিনেমা হল আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় প্রদর্শক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট একনেকের সভায় বন্ধ সিনেমা হল সংস্কার ও নতুন সিনেমা তৈরিতে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত দেয় সরকার।


আরো সংবাদ



premium cement