‘পরান’ই মিমের সেরা কাজ বললেন সুবর্ণা
- সাকিবুল হাসান
- ১৩ আগস্ট ২০২২, ০০:০৫
সুবর্ণা মুস্তাফা, বাংলাদেশের এমনই একজন অভিনেত্রী যাকে তার পরের কয়েকটি প্রজন্ম অভিনয়ে তাকে আদর্শ অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েই অভিনয়ের দুনিয়ায় নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেছেন। অনেক শিল্পীকে প্রিয় অভিনেত্রী কে? এই প্রশ্ন করলে সুবর্ণা মুস্তাফারই নামটি বলেন তারা শ্রদ্ধার সাথে। সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলাদেশের অভিনয়ের দুনিয়ার নন্দিত তারকাভিনেত্রী, একজন জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী। একুশে পদকপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফার কাছ থেকে অভিনয়ে প্রশংসা পাওয়াও যেন শিল্পীদের অভিনয় জীবনের জন্যও সম্মাননা প্রাপ্তিরই মতো। সারা দেশজুড়ে এখন যেন ‘পরাণ’ সিনেমা দেখার এক জোয়ার চলছে। গেল ঈদে অর্থাৎ ১০ জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমাটি এরইমধ্যে অনেক শিল্পী-কলাকুশলীবৃন্দও উপভোগ করেছেন। প্রত্যেকেই ‘পরাণ’-এর প্রশংসা করেছেন। সুবর্ণা মুস্তাফাও এরইমধ্যে ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমাটি উপভোগ করেছেন। ‘পরাণ’-এ অনন্যা চরিত্রে মিম, রাজ, ইয়াশের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। আজ থেকে দেড় দশক আগে ‘লাক্স চ্যানেলআই ২০০৭’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ের মুকুট পরার মধ্য দিয়ে মিডিয়াতে মিমের সফল অভিষেক হয়। এই প্রতিযোগিতার একটি পর্বে নাটিকায় অভিনয় করতে হয়েছিল মিমকে। কবি আল মাহমুদের ‘নোলক’ কবিতাটি ছিল মিমের পারফরম্যান্সের অংশ। নাটিকাটিতে মিম অভিনয় করেছিলেন শিক্ষার্থীর ভূমিকায়, শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন মনির খান শিমুল। লাক্স-চ্যানেল আইয়ের প্রতিযোগিতায় প্রধান তিন বিচারক ছিলেন সারা যাকের, সুবর্ণা মুস্তাফা ও তৌকীর আহমেদ। নাটিকা পর্বে মিমের অভিনয় দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। সুবর্ণা মুস্তাফা বলেছিলেন, মিম-তুমি লাক্স চ্যানেলআই সুপারস্টার হতে পারবে কি না জানি না, কিন্তু তুমি একদিন বড় মাপের একজন অভিনেত্রী হবে। দীর্ঘ দেড় দশক পর ‘পরাণ’ দেখে মিম প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘হ্যাঁ, মনে পড়ছে- মিমকে নিয়ে আমার ভীষণ প্রত্যাশা ছিল যে সে অভিনয়ে ভালো করবে। এর আগে চলচ্চিত্রে যাই করুক না কেন পরাণ- সিনেমায় অনন্যা চরিত্রে মিমের অভিনয় একদম পারফেক্ট হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে। মিমের যত কাজ ছোটপর্দায় বড়-পর্দায় আমার দেখা হয়েছে পরাণই হচ্ছে এখন পর্যন্ত তার শেষ্ঠ কাজ। বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, শ্রদ্ধেয় সুবর্ণা ম্যাডাম বলা যায় আমাদের সব অভিনয়শিল্পীরই আইডল। আমার খুব মনে পড়ে তিনি আমার অভিনয় নিয়ে ভীষণ প্রত্যাশা করেছিলেন। সেই সময় তার মতো এমন বরেণ্য কিংবদন্তি অভিনেত্রীর অনুপ্রেরণা আমার জন্য ছিল অনেক বড় শক্তি। তিনি পরাণ সিনেমা হলে গিয়ে উপভোগ করেছেন- এটাই আমার অনেক অনেক ভালোলাগার। উল্লেখ্য, বিদ্যা সিনহা মিম খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। তখনো সুবর্ণা মুস্তাফা জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা