২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আমাকে জোর করে অভিনেতা বানানো হয়েছে Ñ আসাদ

-

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর আজীবন সম্মাননা যুগ্মভাবে পেয়েছেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী রাইসুল ইসলাম আসাদ ও আনোয়ারা বেগম। এ ছাড়া ২৭ বিভাগে ৩২ জন পেয়েছেন পুরস্কার। পুরস্কার প্রদান শেষে সবার পক্ষে মঞ্চে কথা বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।
তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) এখানে দাঁড়াতে পেরেছি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় সম্মানিত হতে পারছি, এর কারণ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর এ স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আমিও অভিনেতা হতে পারতাম না।’ ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, মন্ত্রী মহোদয়, বিশেষ অতিথি ও চলচ্চিত্রপ্রেমী, সুধিমণ্ডলী। যুদ্ধফেরৎ আসাদকে জোর-জবরদস্তি করে অভিনেতা বানিয়ে দেয়া হলো, যেই স্বপ্ন সে কোনোদিন দেখেনি, চিন্তাও করেনি।’
‘৭২ এ মঞ্চ, টেলিভিশন, ৭৩ এ চলচ্চিত্র, দেখতে দেখতে ৫০ বছর পার। যারা ঠেলা, ধাক্কা দিয়ে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সব নাম এক সাথে মনে করতে পারি না, তাই বাদ পড়ার ভয়ে কারো নাম উল্লেখ করলাম না। শুধু একটা নাম সোহেল সামাদ। সহযোদ্ধা, বয়সে ছোট, অধিকারে বড়।
‘একাত্তরের ডিসেম্বরে ২৪ বা ২৫ তারিখ, বিজয়ের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঢাকায়। জোর করে আমার কণ্ঠ ব্যবহার করল। তার পর থেকে শুরু হয়ে গেল।
‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যারা আমাকে এই সম্মানে উপযুক্ত মনে করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সর্বোপরি এ অনুষ্ঠানের অন্য সব পুরস্কার গ্রহণকারীর পক্ষ থেকেও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।‘কত কথা মনে পড়ে, কত ঘটনা, কত চরিত্র এলোমেলো ঘুরপাক খায়, ছুটে চলে, ডিগবাজি দেয়, আবার কখনো কখনো হামাগুড়ি দেয়।’ সবশেষে সেলিম আল দ্বীনের নাটকের সংলাপ শোনান এই শক্তিমান অভিনেতা, আর জয় বাংলা সেøাগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আসাদ ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে আসাদ প্রথম ‘আমি রাজা হবো না’ এবং ‘সর্পবিষয়ক’ নামের দুইটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৭৩ সালে ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন তিনি। গুণী এই অভিনেতা একাধারে বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এবার তার প্রাপ্তিতে যুক্ত হলো নতুন পালক।
এ প্রসঙ্গে আসাদ বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পুরস্কার পাচ্ছি, এটা তো বড় পাওয়া। দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই অভিনেতা হতে পেরেছি। এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবার একুশে পদকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। আমার কাছে এ পুরস্কারের ব্যাপ্তি অনেক বিশাল।’
মহামারী করোনাকালে কাজ থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও আবার কাজে ফিরেছেন আসাদ। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’র কাজ শুরু করেছেন। ছবিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর চরিত্রে পর্দায় হাজির হবেন আসাদ। এরই মধ্যে মুম্বাইয়ে ছবিটির একদিনের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। শিগগিরই আবার মুম্বাইয়ে উড়াল দেবেন এই অভিনেতা।


আরো সংবাদ



premium cement
পাকিস্তানে প্রতিবাদের খবর দেয়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দর্শনায় অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার বাহাদুর শাহ পার্ক : ইতিহাসের নীরব সাক্ষী পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য ফেসবুক, টিকটক নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ায় ‘হাইব্রিড মডেল’ মানবে না পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা বাড়ল উগান্ডায় ভূমিধসে ৪০ বাড়ি চাপা, নিহত ১৫ দেশে বিশৃঙ্খলার পেছনে রয়েছে ইন্ধনদাতারা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জামায়াত আমিরের দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে না পারলে কিসের বিপ্লব, প্রশ্ন দেবপ্রিয়ের নৈরাজ্য সৃষ্টি জাতিকে বিপর্যয়ে ঠেলে দেবে

সকল